সিরাজগঞ্জে মিল্কভিটায় কর্মরত প্রাণী চিকিৎসক ও কৃত্রিম প্রজননকারীদের চাকরি এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি

বাংলাদেশ মিল্ক ইউনিয়নে (মিল্কভিটা)য় কর্মরত সহকারি প্রাণী চিকিৎসক ও কৃত্রিম প্রজননকারী (এল,এফ,এ,আই) দের চাকরি স্থায়ীকরণের এক দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ীঘাটে কর্মবিরতি ও আমরণ অনশন ধর্মঘট পালন শুরু হয়েছে। এ ধর্মঘটে সারাদেশে কর্মরতরা অংশ নিয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বাংলাদেশ মিল্ক ইউনিয়ন এলএফএআই কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ীঘাট এ কর্মসূচি শুরু হয়।
চলমান এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, রংপুর, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, ভৈরব, চট্টগ্রামের পটিয়া, সোনাগাজী, সুর্বণচর, রামগঞ্জ, রায়পুর, ভোলা, ঝালকাঠি, সাতক্ষীরা, তালা, খুলনা, যশোর, গোপালগন্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও কুড়িগ্রামে কর্মরত সহকারি প্রাণী চিকিৎসক ও কৃত্রিম প্রজননকারীরা।
বাংলাদেশ মিল্ক ইউনিয়ন এল,এফ,এ,আই কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাে: নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি গোলাম মওলা, সাধারণ সম্পাদক মো: মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো: হাসান আলী, জুয়েল রানা, আবুল হাসেম, আব্দুল বারীক মন্ডল, মো: বেলাল হোসেন প্রমুখ।
মিল্কভিটা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ সাল থেকে শাহজাদপুরসহ সারাদেশের মিল্কভিটায় ১৭৮ জন সহকারি প্রাণী চিকিৎসক ও কৃত্রিম প্রজননকারী (এল,এফ,এ,আই) কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কর্মরতদের চাকরি স্থায়ী করণ হয়নি। বছরের পর বছর যুগের পর যুগ তারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। নানা আন্দোলন ও কর্মসূচির পর ১৯৯৯ সালে কর্মরতদের সরকারি পে-স্কেলের ১৪তম গ্রেডে বেতন ভাতাসহ সরকারি অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়া শুরু করেন। ২০১৫ সালে সরকার নতুন পে-স্কেল ঘোষণা করলে নতুন করে আবারও কর্মরত সহকারী প্রাণি চিকিৎসক ও কৃত্রিম প্রজননকারীদের বেতন ভাতাসহ সিমেন বিক্রির টাকাও বন্ধ করে দেন তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা মিল্কভিটা চেয়ারম্যান নাদির হোসেন লিপু। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন খামারিদের নিকট গিয়ে গাভীর সুস্থতা ও দুগ্ধ বৃদ্ধিকরণে পরিশ্রমকারী সহকারী প্রাণি চিকিৎসক ও কৃত্রিম প্রজননকারীরা। অনতিবিলম্বে নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন, ইনক্রিমেন্ট চালু ও চাকরি স্থায়ী করণের আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসক ও প্রজননকারীরা। মিল্কভিটায় কর্মরত শ্রমিকরা কেউ এক যুগ, দেড় যুগ, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে অস্থায়ী অবস্থায় কাজ করছেন। চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় অবসরের সময় তারা কোনো পেনশন বা অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই অনতিবিলম্বে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা না হলে কঠোর ও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাকুরি স্থায়ীকরণসহ পে-স্কেল বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকারের উপদেষ্টাসহ বাংলাদেশ মিল্ক ইউনিয়ন (মিল্কভিটা)র চেয়ারম্যানদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সরকারের সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত কৃত্রিম প্রজনন ও সহকারী প্রাণী চিকিৎসকরা।