স্বাধীনতার ঘোষক ও আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ছবি অবমাননা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল সিরাজগঞ্জ শহর। একইসঙ্গে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচারের দাবিতে রোববার (১৩ জুলাই ) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ।
সিরাজগঞ্জ শহরের ইবি রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি এসএস রোড হয়ে বাজার স্টেশন ঘুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ পাতা পৌর মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাপ্ত হয়। বিক্ষোভ শেষে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান বাচ্চু। তাঁর সঙ্গে মিছিলে সামিল হন বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় এক হাজারে অধিক নেতাকর্মী।
উক্ত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামীম খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদে হোসনে সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ আলামিন খান ও সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, মহিলা দলের সভাপতি মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক মোছাঃ এলেমা বেগম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ বিশা সেখ ও সাধারণ সম্পাদক এম. এ. আব্দুল ওহাব, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ আব্দুল্লাহ আল কায়েস ও সদস্য সচিব মোঃ মলিন হক রঞ্জু, কৃষক দলের আহবায়ক আব্দুল মতিন ও সদস্য সচিব টি. এম. শাহাদত হোসেন, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান বাবু ও সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম নরু, জেলা ওলামা দলের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক ও সদস্য সচিব মোঃ নূর নবী।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা এবং তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বাংলার মাটিতে সহ্য করা হবে না। অবিলম্বে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মিটফোর্ডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার না হলে দেশব্যাপী আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
নেতাকর্মীরা সমবেত কণ্ঠে স্লোগান দিতে থাকেন বাংলার মাটিতে জিয়ার অবমাননা চলবে না তারেক রহমানের নামে কটূক্তির জবাব দিবে জনগণ “জামাত-শিবির রাজাকার, বাংলা ছাড় এখনই।
পুরো কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলেও সিরাজগঞ্জ শহরজুড়ে ছিল কড়া পুলিশি নজরদারি। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সমাবেশ শেষ হওয়ার পর নেতাকর্মীরা স্থান ত্যাগ করেন।
বিএনপির নেতারা জানান, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা বন্ধ না হলে রাজপথেই জবাব দেওয়া হবে। জনতার এ অংশগ্রহণ প্রমাণ করে দেশবাসী এখন চায় গণতন্ত্রের মুক্তি এবং রাজনৈতিক সম্মান রক্ষা।