London ০৪:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার মদনে ৬০০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে ধরা পাঁচ মাদক কারবারি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার পাবনার যুবদল ও কৃষকদল নেতা বহিষ্কার পাবনার ফরিদপুরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মা-মেয়ে নিহত, আহত বাবা রাজশাহীতে নতুন জাতের আম কটিমন দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়বে বিএনপি,দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় নেতৃবৃন্দ কালিয়াকৈরে বনের জমিতে অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ অভিযান বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে লালবাগ থানা ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি টি.আর বরাদ্দে দুর্নীতি: কাগজে কাজ শেষ, মাঠে রাস্তা নেই দুর্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১জন

সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় বাবা-ছেলের মৃত্যু-দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

ওয়াসিম সেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ সলঙ্গায় হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৭ টার দিকে সলঙ্গার চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সলঙ্গা ইউনিয়নের পুরনা বেড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান খন্দকার (৭০) ও তার ছেলে জুয়েল খন্দকার (৩৫)। আহত হয়েছেন মান্নানের বড় ছেলে রাসেল খন্দকার (৪০)।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, আব্দুল মান্নান খন্দকার তার দুই ছেলেকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে সলঙ্গা থেকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকায় পৌঁছালে হাটিকুমরুলগামী দ্রুতগামী একটি ট্রাক পেছন থেকে অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়। আহত রাসেলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

ওসি আরও জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নিহতের আত্মীয় মো. সাইফুল খন্দকার বলেন, আমার চাচা মান্নান খন্দকার নিয়মিত অসুস্থ থাকতেন, সেই কারণে তার ছেলেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল। কে জানতো, এই যাত্রাই তাদের শেষ যাত্রা হবে! আমরা এই ঘটনায় কঠোর বিচার চাই। এমন দ্রুতগতির ট্রাক চলাচল বন্ধ না হলে সাধারণ মানুষ এভাবেই মরবে।

আহত রাসেল খন্দকার সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কষ্ট করে বলেন, সব শেষ হয়ে গেল। বাবা-ভাইকে চোখের সামনে হারালাম। ট্রাকটা অনেক জোরে আসছিল। আমাদের কোনো দোষ ছিল না। আমি শুধু চাই, এমন ঘটনার বিচার হোক। যেন অন্য কেউ এভাবে না হারায় প্রিয়জন।

স্থানীয়রা জানান, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে অধিকাংশ সময়ই যানবাহন বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি খুবই কম। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

চড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায়ই দেখি এই এলাকায় গাড়ি দ্রুতগতিতে চলে। একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে এর আগেও। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেই। এই ঘটনার পর প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
৩০
Translate »

সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় বাবা-ছেলের মৃত্যু-দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

আপডেট : ০৩:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

সিরাজগঞ্জ সলঙ্গায় হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৭ টার দিকে সলঙ্গার চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সলঙ্গা ইউনিয়নের পুরনা বেড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান খন্দকার (৭০) ও তার ছেলে জুয়েল খন্দকার (৩৫)। আহত হয়েছেন মান্নানের বড় ছেলে রাসেল খন্দকার (৪০)।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, আব্দুল মান্নান খন্দকার তার দুই ছেলেকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে সলঙ্গা থেকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকায় পৌঁছালে হাটিকুমরুলগামী দ্রুতগামী একটি ট্রাক পেছন থেকে অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়। আহত রাসেলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

ওসি আরও জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নিহতের আত্মীয় মো. সাইফুল খন্দকার বলেন, আমার চাচা মান্নান খন্দকার নিয়মিত অসুস্থ থাকতেন, সেই কারণে তার ছেলেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল। কে জানতো, এই যাত্রাই তাদের শেষ যাত্রা হবে! আমরা এই ঘটনায় কঠোর বিচার চাই। এমন দ্রুতগতির ট্রাক চলাচল বন্ধ না হলে সাধারণ মানুষ এভাবেই মরবে।

আহত রাসেল খন্দকার সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কষ্ট করে বলেন, সব শেষ হয়ে গেল। বাবা-ভাইকে চোখের সামনে হারালাম। ট্রাকটা অনেক জোরে আসছিল। আমাদের কোনো দোষ ছিল না। আমি শুধু চাই, এমন ঘটনার বিচার হোক। যেন অন্য কেউ এভাবে না হারায় প্রিয়জন।

স্থানীয়রা জানান, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে অধিকাংশ সময়ই যানবাহন বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি খুবই কম। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

চড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায়ই দেখি এই এলাকায় গাড়ি দ্রুতগতিতে চলে। একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে এর আগেও। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেই। এই ঘটনার পর প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত।