সিরাজগঞ্জে এক রাতে চার গ্রাম থেকে ১১টি গরু চুরি-ক্ষতি ১৪ লাখ টাকার বেশি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এক রাতে চান্দাইকোনা ও সোনাখাড়া ইউনিয়নের চারটি গ্রাম থেকে অজ্ঞাত চোরচক্র ১১টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় চারটি পরিবার চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটে আজ রবিবার (৬ জুলাই) ভোররাত ১টা ৩০ মিনিট থেকে ৩টা ৩০ মিনিটের মধ্যে। চুরি হওয়া গরুগুলোর মধ্যে গাভী, বাছুর, ষাড় বাছুড় সহ ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১১টি গরু রয়েছে।
মোজাফফরপুর গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মোঃ সোহান রহমান জানান, রাতে আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোরে উঠে দেখি গোয়ালঘরের তালা কাটা। আমার ২টি গাভী ও ১টি বাছুর নেই। বাজারমূল্যে এর দাম প্রায় ৪ লাখ টাকা।
রূপাখাড়া গ্রামের মোঃ আপেল মাহমুদ বলেন, আমার গাভীটি ৮ মাসের গর্ভবতী ছিল। সঙ্গে একটি বাছুর এবং একটি ষাড় বাছুড় মিলিয়ে ৪টি গরু চুরি গেছে। ৩ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়ে গেল।
সোনাখাড়া গ্রামের মোঃ লুৎফর রহমান জানান, রাত ১টা ৩০ মিনিটে চুরি হয়েছে। আমার একটি গাভী এবং একটি ষাড় বাছুড় মিলিয়ে ২টি গরু নিয়ে গেছে চোরেরা। বাজারে এর মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো।
এছাড়া গোপালপুর গ্রামের মোঃ রেজাউল করিম তালুকদার জানান, তার গোয়ালঘর থেকে চোরেরা ২টি গাভী গরু চুরি করে নিয়ে গেছে যার বাজারমূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেম মাসুদ রানা জানান, একই রাতে একাধিক স্থানে গরু চুরির ঘটনা উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যেই আমাদের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং এলাকার বিভিন্ন স্থানে চোরচক্রের গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। খুব দ্রুতই চোরচক্রকে শনাক্ত ও আটক করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।
এদিকে একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চুরি রোধে এলাকায় রাত্রিকালীন টহল জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, থানায় পৃথক চারটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং চুরির মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।