সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের চরবনবাড়িয়া গ্রামে অসহায় নারী সুর্যবানু ও মাজেদা বেগমের ক্রয়কৃত জমির তথ্য গোপন রেখে অবৈধভাবে ডিগ্রি জারি, নগদ অর্থ, দুই ভরি স্বর্ণ, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে চরবনবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রায়পুর মৌজা জে এল নং-১৯০ এস এ খতিয়ান নং ৮২০ আর এস খতিয়ান নং ৮৭০ দাগ নং ২৫৩৬/১৩৫৫ ফসলি ১৪ শতাংশ ও দাগ নং ২৫৪৪/১৩৩১ ফসলি ১৭ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ ১৯৯৯ সালের ২৫ শে জানুয়ারি, ১৩ অক্টোবর ছুরমান আলী ওরফে কুরমান আলীর কাছ থেকে সর্বমোট ১৮ শতক জমি ক্রয় করেন সুর্যবানু ও মাজেদা বেগম। সেই থেকে তিনি ও তাঁর পরিবার উক্ত জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ছুরমান আলী ওরফে কুরমান আলী ও তাঁর ওয়ারিশগণ ভুল তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ওই জমির ডিগ্রি নিজেদের নামে জারি করে নেন। এরপর কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই তারা সুর্যবানুর ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলে এবং প্রায় ২০টি মেহগনি ও ফলজ গাছ কেটে ফেলে। এতে আনুমানিক ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সুর্যবানুর পরিবার।
এ বিষয়ে সুর্যবানুর বড় ছেলে সুলতান মাহমুদ আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আমরা অসহায় মানুষ। জমির দলিল, খাজনা সব ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়েছে। গাছ কেটে ফেলেছে, এমনকি কেউ কথা শুনছে না।
অন্যদিকে সুর্যবানুর অংশের ৪ শতক জমি বিক্রয় করা হয়েছিল, যা বৈধভাবে অন্য ব্যক্তি ক্রয় করেন মৃত আব্দুর রশিদের নামে উক্ত জমির দলিল, খাজনা ও খারিজ সঠিকভাবে রয়েছে। তবুও সম্প্রতি তাঁর ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে সোনার স্বর্ণালঙ্কার প্রায় ২ ভরি, নগদ ২ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্রসহ মোট ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।