সিরাজগঞ্জের শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে ভাংচুর চালালো স্থানীয়রা

সিরাজগঞ্জের ৫’শয্যা বিশিষ্ট শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকাল কলেজ হাসপাতালের নামকরন পরিবর্তন না করায় উদ্বোধনের নামফলক ও সাইনবোর্ড ভাংচুর করল স্থানীয়রা। সোমবার (৭ জুলাই) সকালে প্রতিষ্ঠান পাশ্ববর্তী শিয়ালকোল গ্রামের ৩/৪’শ লোকজন কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গনে ঢুকে বিক্ষুব্দরা দুটি প্রতিষ্ঠানের সাবেক পতিত সরকারের মন্ত্রীর নামীয় নামফলক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ ক্যাপ্টেন এম.মনসুর আলীর নামীয় সাইনবোর্ডে হামলা ও ভাংচুর চালায়। ভাঙচুর কারীরা হাসপাতালে সরকারি পরিচালক ডঃ আনোয়ার হোসেনের দ্রুত অপসারণ চেয়ে স্লোগানও দেন। ঠিক কে বা কারা হামলা ও ভাংচুর চালালো, হাসপাতাল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের কেউই সে বিষয়ে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেননি বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এটিএম নুরুজ্জামান বলেন, কারা ঠিক কি দাবিতে বা বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে সকালে হাসপাতালে এসে বা কি কারনে হামলা ও ভাংচুর চালালো, বিষয়টি বোধগম্য নয়। থানায় অভিযোগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে সাড়া দেননি।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান পারভেজ বলেন, সাবেক পতিত সরকারের একজন মন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধন ফলক ও তার বাবা প্রয়াত মুজিব সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নামে কলেজটির নামকরণ নিয়ে দ্বন্দ্বের কারনে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বলে জানা গেছে। নামকরণ পরিবর্তনের বিষয় সরকারিভাবে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ মোখলেসুর রহমান সোমবার বিকেলে জানান, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় থানায় কেউই লিখিত অভিযোগ করেনি।
প্রসঙ্গত: প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকার সরকারি ব্যয়ে সিরাজগঞ্জের শিয়ালকোলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। সাবেক পতিত সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন। মোহাম্মদ নাসিমের বাবা মুজিব সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর নামে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করেন। এরপর ২০২২ সালে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক হাসপাতালের সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।