৪৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভার সাবেক দুই মেয়র মিরাজুল ইসলাম ও মাহবুবুল আলম বাচ্চুসহ ১৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় বুধবার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (পাবনা) মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদক পাবনা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মোট ৪৩ লাখ ৭ হাজার ৫৩৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন সাবেক মেয়র, ১১ জন সাবেক কাউন্সিলর এবং ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তারা হলেন, সাবেক মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক, সাবেক মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন খান, বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীনুজ্জামান, হিসাবরক্ষক আব্দুল বারিক, কার্য-সহকারী আবু ইছা শফিউল আলম, প্রধান সহকারী নুরুজ্জামান, এমএলএসএস নুরুল ইসলাম।
কাউন্সিলরদের মধ্যে অভিযুক্তরা হলেন, মধ্যে ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর চাঁদ আলী, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাউদ্দীন, একই ওয়ার্ডের দুই সাবেক কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম ও আব্দুল হাই, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফছার আলী, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোছাদ্দেক হোসেন নাসিম, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হামিদ ব্যাপারী, একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ, সংরক্ষিত নরী কাউন্সিলর বুলবুলি খাতুন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হাসিনা খাতুন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর জীবন নাহার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাঁথিয়া পৌরসভার অনুকূলে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ডেঙ্গু মশক নিধন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও প্রচার, কোভিড-১৯ করোনা মহামারি মোকাবেলার লক্ষ্যে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ টাকা, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ১১ লাখ ৩ হাজার ৮৬৭ টাকা এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত ১১ লাখ ২৫ হাজার ১৫০ টাকা অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া বিল-ভাউচার ও কোটেশন তৈরি করে আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়াও অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে সাঁথিয়া পৌরসভার কোন জীপ গাড়ি না থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত গাড়িতে জ্বালানি ব্যয়ের জন্য বিল তুলে মোট ২ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা এবং সাঁথিয়া পৌরসভার ড্রেন পরিষ্কারের নামে ভুয়া বিল ভাউচার প্রস্তুত করে ২ লাখ ৭২ হাজার ১৫০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সবমিলিয়ে তারা ৪৩ লাখ ৭ হাজার ৫৩৩ টাকা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া বিল-ভাউচার ও কোটেশন করে বিল তুলে আত্মসাৎ করেছেন।