London ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক, সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি বরিশালে বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ৮ এনসিপির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা জানালেন উমামা ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত বিশ্বরেকর্ড গড়া বৈভবের জন্য বড় পুরস্কার ঘোষণা হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হচ্ছেন নুসরাত-অপু-নিপুণ-ভাবনা-জায়েদ খানরা দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সরকার বন্ধ করেনি: তথ্য উপদেষ্টা কালিয়াকৈরে উপজেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও গ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ২টি কারখানাকে জরিমান ফাইনাল হেরে দর্শকের দিকে তেড়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ অভিনেতা সিদ্দিককে পিটুনি, মামলা থাকলে গ্রেফতার: পুলিশ

সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক, সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

অনলাইন ডেস্ক:

জম্মু ও কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলা ও এর সম্ভাব্য জবাব নিয়ে দেশটির তিন বাহিনীর প্রধান, চিফ অব ডিফেন্স অনীল চৌহান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মোদির নয়াদিল্লির বাসভবনে বৈঠকটি হয়। কাল বুধবার তিনি মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (সিসিএস) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এর আগে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা পরামর্শকের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ নিউজ জানিয়েছে, বৈঠকে মোদি জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্বের সক্ষমতার ওপর তার পূর্ণ আস্থা আছে। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন কবে, কখন কোন সময় লক্ষ্যতে আঘাত হানতে হবে সে ব্যাপারে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের ধ্বংসাত্মক আঘাত ভারতের জাতীয় সংকল্প।” এরমাধ্যমে মোদি জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালানোর ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে অপর একটি সূত্র।

সশস্ত্র বাহিনীর ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরই মোদির দিল্লির বাড়িতে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কাশ্মিরের পেহেলগামে ওই হামলার পর পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছে ভারত। যদিও পাকিস্তান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪০ সেনা নিহত হয়। এরপর পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালানোর দাবি করে নয়াদিল্লি। তারা বলেছিল বালাকোটে জইস-ই মোহাম্মদ নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর আস্তানা ছিল। যারা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিজেদের পরিচালনা করে আসছিল এবং সেনাদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:৪৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
Translate »

সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক, সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

আপডেট : ০২:৪৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

জম্মু ও কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলা ও এর সম্ভাব্য জবাব নিয়ে দেশটির তিন বাহিনীর প্রধান, চিফ অব ডিফেন্স অনীল চৌহান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মোদির নয়াদিল্লির বাসভবনে বৈঠকটি হয়। কাল বুধবার তিনি মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (সিসিএস) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এর আগে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা পরামর্শকের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ নিউজ জানিয়েছে, বৈঠকে মোদি জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্বের সক্ষমতার ওপর তার পূর্ণ আস্থা আছে। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন কবে, কখন কোন সময় লক্ষ্যতে আঘাত হানতে হবে সে ব্যাপারে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের ধ্বংসাত্মক আঘাত ভারতের জাতীয় সংকল্প।” এরমাধ্যমে মোদি জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালানোর ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে অপর একটি সূত্র।

সশস্ত্র বাহিনীর ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরই মোদির দিল্লির বাড়িতে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কাশ্মিরের পেহেলগামে ওই হামলার পর পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছে ভারত। যদিও পাকিস্তান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪০ সেনা নিহত হয়। এরপর পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালানোর দাবি করে নয়াদিল্লি। তারা বলেছিল বালাকোটে জইস-ই মোহাম্মদ নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর আস্তানা ছিল। যারা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিজেদের পরিচালনা করে আসছিল এবং সেনাদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।