সর্বনিম্ন ডট বল খেলল গুজরাট, হেরে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে হায়দরাবাদ

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আইপিএলের গত মৌসুমে ছিল রীতিমতো বিধ্বংসী। বিশেষ করে ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার জুটি ছিল প্রতিপক্ষ বোলারদের জন্য আতঙ্কের নাম। কিন্তু গতবারের রানার্সআপ দলটির চিত্র এবার সম্পূর্ণ বিপরীত। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা দলটি এবার সেভাবে সুবিধা করতে পারছে না। ১০ ম্যাচের মধ্যে সাতটিতেই হেরে চলতি আইপিএল থেকে ছিটকে পড়ার দ্বারপ্রান্তে। সর্বশেষ ম্যাচে গতকাল (শুক্রবার) তাদের হারিয়েছে গুজরাট টাইটান্স।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ৫১তম লিগ ম্যাচে মুখোমুখি হয় গুজরাট-হায়দরাবাদ। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট বরাবরের মতোই ভালো সূচনা পায় দুই ওপেনারের বদৌলতে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে গুজরাটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২২৪ রান। সেই লক্ষ্য তাড়ায় হায়দরাবাদের পক্ষে এক অভিষেক শর্মা বাদে বলার মতো আর কেউ রান করতে পারেনি। ফলে ৬ উইকেটে ১৮৬ রানেই থামে তাদের দৌড়।
ম্যাচটিতে যৌথভাবে সর্বনিম্ন (২২) ডট বল খেলার রেকর্ড গড়ে গুজরাট। গত আসরে প্রথম এই কীর্তি গড়েছিল হায়দরাবাদ। গুজরাটকে এবার শুরু থেকেই পথ দেখাচ্ছেন তিন টপঅর্ডার ব্যাটার। এখন পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই গিল-সুদর্শন-বাটলারের যেকোনো একজন ফিফটি করেছেন। এ নিয়ে চলতি আইপিএলে টানা পাঁচ ম্যাচেই জয়ী শুভমানের দল পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে গেল। ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে তাদের পয়েন্ট ১৪। বিপরীতে হায়দরাবাদ আরেকটি ম্যাচ হারলেই ছিটকে যাবে আসর থেকে, ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট মাত্র ৬।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট অধিনায়ক শুভমান গিল ও দারুণ ফর্মে থাকা সাই সুদর্শন মিলে ওপেনিং জুটিতে ৮৭ রান তোলেন। তাদের ঝোড়ো শুরুতে দলের রানরেট ছিল ১২–এর ওপরে। যদিও ব্যক্তিগত ফিফটি থেকে ২ রানের দূরত্বে আউট হয়েছেন সুদর্শন। তরুণ এই ওপেনার ২৩ বলে ৯টি চারে ৪৮ রান করেন। রানআউটে কাটা না পড়লে গিলের ইনিংসটাও আরও বড় হতে পারত। তিনি ৩৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস সাজিয়েছেন ১০টি চার ও ২ ছক্কায়।
সুদর্শনের সঙ্গে কার্যকর ওপেনিং জুটির পর জস বাটলারের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়েছিলেন গিল। গুজরাট অধিনায়ক আউট হলেও দলীয় রানের গন্তব্য ছিল বড় লক্ষ্যের দিকেই। ফর্মে থাকা ইংল্যান্ড তারকা বাটলারও তাণ্ডব চালিয়েছেন হায়দরাবাদ বোলারদের ওপর। তিনি ৩৭ বলে ৩টি চার ও ৪ ছক্কায় ৬৪ করলে গুজরাট বড় পুঁজি পেয়ে যায়। হায়দরাবাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন জয়দেব উনাদকাট।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনার অভিষেক বাদে আর কেউই কার্যকর ইনিংস খেলতে পারেনি হায়দরাবাদের। বাঁ-হাতি এই ওপেনার ৪১ বলে ৪টি চার ও ৬ ছক্কায় ৭৪ রান করেন। ট্রাভিস হেড আউট হয়ে যান ১৬ বলে ২০ রান করে। এ ছাড়া হেইনরিখ ক্লাসেন ২৩, নিতীশ কুমার রেড্ডি ২১ ও প্যাট কামিন্স ১৯ রান করলে দলীয় পুঁজি ১৮৬–তে ঠেকে। ৩৮ রানে হার নিশ্চিত হয় হায়দরাবাদের। গুজরাটের হয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন প্রসিধ কৃষ্ণা ও মোহাম্মদ সিরাজ।