সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ!!
নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার একমাত্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান মৃধার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে।
দীর্ঘদিন ধরে ওঠে আসা অভিযোগের প্রেক্ষিতে দূর্নীতির নানা বিষয় তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করেছে ছাত্র শিক্ষক জনতা ঐক্য পরিষদ।
এসময় এলাকাবাসী ও শান্তিকামী মানুষ ইতিমধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ,
সরকারি স্কুল হওয়ার পরেও
কোনো রকম কোনো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়না বিদ্যালয়টিতে।
এছাড়া বিদ্যালয়টিতে সঠিকভাবে ক্লাস নেওয়া হয় না।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে সেশন ফি বাবদ ৯১৫ টাকা নিয়ে তবেই বই তুলে দেওয়া হতো । এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা ফি মাত্রা অতিরিক্ত নেওয়া হতো যা অন্যান্য স্কুলের চেয়েও বেশি।
সরকারি হলেও নেই কোন সুযোগ সুবিধা এতে ভোগান্তিতে ছাত্র ছাত্রীরা ।
তাইতো দিন দিন এ স্কুলের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে অভিভাবকরা ।
এদিকে রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ও যোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া না হলে আন্দোলন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে জানায়
ছাত্র জনতা ঐক্য পরিষদ।
উক্ত বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানায়, এ বছর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা ৩/৪ টি হলেও পরীক্ষার ফি এর টাকাসহ অন্যান্য ফি পুরোপুরি দিতে হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান মৃধা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো তুলে ধরা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে একটি পক্ষ আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমন কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে যথা নিয়মে বিদ্যালয় চালিয়ে আসছি। এছাড়া অভিযোগে ভিত্তিতে আমার কাছে যে জবাব চাওয়া হয়েছিলো তা যথাযথ ভাবে প্রদান করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাইমেনা শারমীন বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তার কাছ থেকে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।