London ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার পাবনার যুবদল ও কৃষকদল নেতা বহিষ্কার পাবনার ফরিদপুরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মা-মেয়ে নিহত, আহত বাবা রাজশাহীতে নতুন জাতের আম কটিমন দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়বে বিএনপি,দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় নেতৃবৃন্দ কালিয়াকৈরে বনের জমিতে অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ অভিযান বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে লালবাগ থানা ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি টি.আর বরাদ্দে দুর্নীতি: কাগজে কাজ শেষ, মাঠে রাস্তা নেই দুর্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১জন পাবনার সাঁথিয়ায় মানসিক রোগী পুত্রবধূর ধারালো বটির কোপে শ্বশুর নিহত পাবনায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ছে

ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ছে। এ–সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে বয়সসীমা কত বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে, তা দায়িত্বশীল কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলছেন না। তবে বয়সসীমা বাড়ছে, এটা প্রায় নিশ্চিত বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে পর্যালোচনা কমিটির কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে শনিবার কথা বলেছে।তাঁরা কেউ বয়সসীমা কত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটা স্পষ্ট করে বলতে চাননি।

তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে নারীদের জন্য তা ৩৭ বছর করার পক্ষে মত দিয়েছে কমিটি।

পর্যালোচনা কমিটির দুজন সদস্য বলেছেন, চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। এ জন্য কমিটির সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কিছু বলবেন না।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা।

আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার বিষয়টি পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করে সরকার। এই কমিটির প্রধান করা হয়ে সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। কমিটির সদস্যসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব। কমিটিতে আরও তিনজন সদস্য আছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে ২ অক্টোবর বসেছিল কমিটি। সেদিন কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সেশনজট, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে চাকরিতে প্রবেশের বিদ্যমান বয়স বাড়ানো উচিত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:৫০:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
১১৬
Translate »

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ছে

আপডেট : ০২:৫০:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ছে। এ–সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে বয়সসীমা কত বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে, তা দায়িত্বশীল কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলছেন না। তবে বয়সসীমা বাড়ছে, এটা প্রায় নিশ্চিত বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে পর্যালোচনা কমিটির কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে শনিবার কথা বলেছে।তাঁরা কেউ বয়সসীমা কত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটা স্পষ্ট করে বলতে চাননি।

তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে নারীদের জন্য তা ৩৭ বছর করার পক্ষে মত দিয়েছে কমিটি।

পর্যালোচনা কমিটির দুজন সদস্য বলেছেন, চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। এ জন্য কমিটির সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কিছু বলবেন না।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা।

আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার বিষয়টি পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করে সরকার। এই কমিটির প্রধান করা হয়ে সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। কমিটির সদস্যসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব। কমিটিতে আরও তিনজন সদস্য আছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে ২ অক্টোবর বসেছিল কমিটি। সেদিন কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সেশনজট, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে চাকরিতে প্রবেশের বিদ্যমান বয়স বাড়ানো উচিত।