বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা,বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবক কমরেড ডা. দিবালোক সিংহ বলেছেন,বাংলাদেশ থেকে সকল প্রকাশ বৈষম্য দূর করতে হবে। এসময় তিনি জুলাই গণহত্যাকারীদের দ্রুততার সাথে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
তিনি বলেন,আমরা এখানে (বাংলাদেশে) সংস্কারের কথা শুনি,কিন্তু আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষ,মেহনতি মানুষ,ক্ষেতমজুর তাদের জীবনে যে বৈষম্য বিরাজ করছে সেই বৈষম্য দূর করার জন্য সরকারের কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি এই সরকারের প্রত্যক্ষ প্রশ্রয়ে উগ্রবাদী রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটেছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) নেত্রকোণার দুর্গাপুরে উপজেলা সিপিবি আয়োজিত 'শহীদ রিজভী দিবসে'র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মাহমুদুল হাসান রিজভী স্মরণে দুর্গাপুরে 'শহীদ রিজভী দিবস' পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় লাল পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভা।
অনুষ্ঠানে দিবালোক সিংহ বলেন,বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটা অনির্বাচিত সরকার। তারা সংস্কারের নামে তাদের ক্ষমতা প্রলম্বিত করার জন্য নানা ফন্দি ফিকির করে যাচ্ছে। গত বছর (জুলাই আন্দোলনে) যারা আহত হয়েছে তাদের সুষ্ঠু চিকিৎসা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বলেছিলাম এই দেশে সিন্ডিকেট হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু হু করে উপরে উঠেছে। এই এক বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমেনি,সারের দাম কমেনি,বীজের দাম কমেনি। এই এক বছরে ক্ষেতমজুর ও মেহনতি মানুষের কর্মসংস্থানের যে প্রসঙ্গ সেটি অর্জিত হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। এই সরকার যত বেশি প্রলম্বিত হবে আমাদের দেশের মানুষের সামাজিক জীবন,রাজনৈতিক জীবন, অর্থনৈতিক জীবন সমস্ত ক্ষেত্রে এই অস্থিতিশীলতা বিরাজ করতে থাকবে।
সিপিবির এই কেন্দ্রীয় নেতা অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু,সুন্দর,নিরপেক্ষ ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি জানান।
এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আলকাছ উদ্দিন মীর, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জহির রায়হান সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুপন কুমার সরকার।