সংবাদ প্রকাশের পর সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলন কে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আজ ২০ মার্চ( বৃহস্পতিবার) ছাত্রদলের নিজস্ব ওয়েব সাইটে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেন যে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলা শাখার অধীনস্থ আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলন সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে কোনরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে ১৭ই মার্চ (সোমবার) আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ ধর্ষণ চেষ্টা একটি মামলায় মিলন কে ঢাকার গাজীপুর থেকে আটক করে আদালতে প্রেরন করে।
উল্লেখ্য গত ৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ এর দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শালিসের টাকা দেওয়ার কথা বলে ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলন তার শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে টাকা না দিয়ে কৌশলে বিভিন্ন কু-প্রস্তাবদেয়, তাকে রাজি করাতে চেষ্টা করে। মেয়েটি তার কু প্রস্তাবে রাজি না হলে তার সাথে জোর ধর্ষণের চেষ্টা করে, তখন মেয়েটার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে ঐ ছাত্রী কে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে বের করে দেয়। ৭ মার্চ রাতে ঐ কলেজ ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে মিলন সহ তিনজনের বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করা হলে তার নামে আলফাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে একটি মামলা রুজু হয় এবং তাকে গ্রেফতার করে, সে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ছাত্রদল নেতা মিলন বহিষ্কার হওয়ায় উপজেলা বি এন পির একাধিক নেতা বলেন দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোন বিতর্কিত লোক জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি করতে পারবেনা এতে জন মনে দলের প্রতি আস্থা এসেছে।