London ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ প্রকাশের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে মধুমতি নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ অপসারন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে দেওয়া ১৫০০-২০০০ মিটার মাছ শিকারের আড়াআড়ি বাঁশ ও কারেন্ট জালের বাঁধ অপসারণ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আলফাডাঙ্গা( ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
গত ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত ইউএনও একেএম রায়হানুর রহমান অবৈধ বাঁধ সম্পর্কে অবগত হন এবং সরজমিনে গিয়ে তিন দিনের মধ্যে বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দেন। বাঁধ মালিকেরা নিজেদের গরীব ও অসহায় দাবি করে পাঁচ দিনের সময় নেন। অপরাধীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বাঁধ অপসারণ করেনি বরং স্থানীয় বি এন পির প্রভাবশালী নেতাদের কাছ থেকে মদদপুষ্ট হয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছেন। বাঁধ অপসারণের জন্য পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় ১৭ দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে সময় লেগেছে তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।

গত শনিবার ( ১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার দিঘলবানা খেয়াঘাটের দক্ষিণে মধুমতি নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ মাছ শিকারের বাঁধ অপসারণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এ, কে, এম রায়হানুর রহমান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এ, কে, এম রায়হানুর রহমান বলেন, মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে কারেন্ট জাল ও বাঁশ দিয়ে তৈরি আড়াআড়ি বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আলফাডাঙ্গা ও মোহাম্মদপুর উপজেলার কিছু অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী মধুমতি নদীতে অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিলেন। বাঁধের অর্ধেক বাঁশ অপসারণ করে নিলাম করা হয়েছে, রাতে মাছ শিকারের জন্য অস্থায়ী কুড়ে ঘর ধ্বংস করা হয়েছে এবং একটি ভাড়া চালিত ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। শর্ত সাপেক্ষে ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘মধুমতি নদীসহ উপজেলার সকল নদ-নদী, খালে পানির অবাধ প্রবাহ এবং মৎস্য সম্পদ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে। ভবিষ্যতে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অভিযানকালে থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক সুজন বিশ্বাস সহ সঙ্গীয় ফোর্স ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন, মৎস্য হিসাব রক্ষক মো. রিফাত মিয়া, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ভূমি সেলিমুজ্জান খান  উপস্থিত ছিলেন

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:৪২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
২১
Translate »

সংবাদ প্রকাশের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে মধুমতি নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ অপসারন

আপডেট : ১২:৪২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে দেওয়া ১৫০০-২০০০ মিটার মাছ শিকারের আড়াআড়ি বাঁশ ও কারেন্ট জালের বাঁধ অপসারণ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আলফাডাঙ্গা( ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
গত ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত ইউএনও একেএম রায়হানুর রহমান অবৈধ বাঁধ সম্পর্কে অবগত হন এবং সরজমিনে গিয়ে তিন দিনের মধ্যে বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দেন। বাঁধ মালিকেরা নিজেদের গরীব ও অসহায় দাবি করে পাঁচ দিনের সময় নেন। অপরাধীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বাঁধ অপসারণ করেনি বরং স্থানীয় বি এন পির প্রভাবশালী নেতাদের কাছ থেকে মদদপুষ্ট হয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছেন। বাঁধ অপসারণের জন্য পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় ১৭ দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে সময় লেগেছে তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।

গত শনিবার ( ১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার দিঘলবানা খেয়াঘাটের দক্ষিণে মধুমতি নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ মাছ শিকারের বাঁধ অপসারণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এ, কে, এম রায়হানুর রহমান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এ, কে, এম রায়হানুর রহমান বলেন, মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে কারেন্ট জাল ও বাঁশ দিয়ে তৈরি আড়াআড়ি বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আলফাডাঙ্গা ও মোহাম্মদপুর উপজেলার কিছু অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী মধুমতি নদীতে অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিলেন। বাঁধের অর্ধেক বাঁশ অপসারণ করে নিলাম করা হয়েছে, রাতে মাছ শিকারের জন্য অস্থায়ী কুড়ে ঘর ধ্বংস করা হয়েছে এবং একটি ভাড়া চালিত ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। শর্ত সাপেক্ষে ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘মধুমতি নদীসহ উপজেলার সকল নদ-নদী, খালে পানির অবাধ প্রবাহ এবং মৎস্য সম্পদ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে। ভবিষ্যতে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অভিযানকালে থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক সুজন বিশ্বাস সহ সঙ্গীয় ফোর্স ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন, মৎস্য হিসাব রক্ষক মো. রিফাত মিয়া, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ভূমি সেলিমুজ্জান খান  উপস্থিত ছিলেন