নেত্রকোণা জেলা বিএনপি’র আয়োজনে “নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন দাবিতে” এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে নেত্রকোণা পৌরশহরের মোক্তারপাড়াস্থ কালেক্টরেট মাঠে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ্ প্রিন্স বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে থাকতে পারেননি। তিনি ভারতের আশ্রিতা হয়ে আছেন। ভারতের একটি পত্রিকা ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জনমত জরিপ তৈরি করেছে। সেই জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ভারতের ৫৫ শতাংশ জনগণ শেখ হাসিনাকে ভারত সরকার আশ্রয় দিতে অনিহা প্রকাশ করেছে। ভারতের জনগণ চায়, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিয়ে বাংলাদেশে সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করুক। শেখ হাসিনার স্থান বাংলাদেশেও নাই, ভারতেও নাই। বিশ্বের কোথাও নাই। কারণ শেখ হাসিনা তিনি নিজে খুনী, সন্ত্রাসী, গণহত্যাকারী ও গণশত্রু। তার সংগঠিত অপরাধ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা আমলে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল সেটার তদন্ত করতে এসেছিল জাতিসংঘের একটি দল। সেই দল ফিরে গিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে স্পষ্টতই উল্লেখ আছে শেখ হাসিনার নির্দেশে হত্যাকান্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড সংগঠিত হয়েছে। গত ১৫ যাবত বাংলাদেশের মানুষ ও বিএনপি যে কথাটা বলেছে তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেছে এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে। এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত খুনী সেই খুনীকে ভারত আশ্রয় দিয়ে সেই খুনীর প্রশ্রয়দাতা হিসেবে চিহ্নিত হবে কিনা সেটা ভারত সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
নেত্রকোণা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আনোয়ারুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ,সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এ টি এম আবদুল বারী, সদস্য আরিফা জেসমিন, সদস্য অধ্যক্ষ রাবেয়া আলী প্রমুখ।
এই আয়োজনে সকাল থেকেই জেলার ১০ উপজেলা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় ময়দান। দীর্ঘ সময় পর এমন সমাবেশ আয়োজন করতে পেরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।