শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনতেই হবে,তারেক রহমান
শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনতেই হবে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, হাজার-লক্ষ মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে। যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে, অবশ্যই সেগুলোর বিচার করতে হবে। যদি বিচার না হয়, তাহলে খুন ও গুমকারীরা আরও উৎসাহ পাবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সোনাগাজী সাবের পাইলট হাইস্কুলে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার আগে দেশের সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষকে গুম-খুন করে স্বৈরাচার ভারতে পালিয়ে গেছে। যেকোনও মূল্যে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে।
বিএনপি দেশ ও জনগণ নিয়ে ভাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার বিগত ১৭ বছর মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে লড়াই করে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিগত ১৭ বছরের লড়াই এবং সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে প্রত্যাশা করে, যেখানে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, গণতন্ত্র থাকবে, স্বচ্ছতা থাকবে। এমন একটি দেশ গড়তে কাজ করতে হবে। শহীদদের আত্মার মর্যাদা দিতে হলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
এ সময় দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে বিএনপির ৩১ দফার কথা উল্লেখ করেন তিনি। তারেক রহমান আরও বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপি আড়াই বছর আগেই সংস্কারের কথা বলেছে। কারণ, বিএনপি বিশ্বাস করতো স্বৈরাচারের বিদায় হবেই। খেয়াল করছি, কিছু মানুষ সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করছে। আমাদের দেখতে হবে, এই সংস্কার সংস্কার বলা কোনো ষড়যন্ত্র কিনা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতসহ আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা, সদস্য সচিব ও অন্যান্য সদস্যরা।