ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে জমি সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় প্রতিপক্ষের হামলায় বাদীর তিনটি দাঁত ভেঙে যায়। ঘটনাটি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বানা ইউনিয়নের বেলবানা গ্রামের গোলাম রব্বানী ও একই গ্রামের ফজর শেখের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আলফাডাঙ্গা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা রয়েছে। আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম রায়হানুর রহমানকে।
গত রবিবার (২ নভেম্বর) মামলার শুনানির দিন ধার্য থাকায় উভয় পক্ষ এসিল্যান্ড অফিসে উপস্থিত হন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গোলাম রব্বানী অফিসে প্রবেশ করার পর পাশের বেঞ্চে বসা আসামিপক্ষের কয়েকজনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবক দৌড়ে এসে রব্বানীর মুখে ঘুষি মারে। তাতেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। উপস্থিত লোকজন তাঁকে তুলতে গেলে দেখা যায়, তাঁর তিনটি দাঁত ভেঙে গেছে। অফিস কক্ষেই একটি দাঁত পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে আহত রব্বানীকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবিদ হাসান তাঁর দাঁত ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অফিসের কর্মীরা হামলাকারীকে আটকানোর চেষ্টা করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম রায়হানুর রহমানের নেতৃত্বে তাঁর গ্রামের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালানো হলেও মেহেদীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায় হামলাকারী মেহেদী সেখ বুড়াইচ ইউনিয়নের সড়ারকান্দীগ্রামের মিরাজ শেখের ছেলে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম রায়হানুর রহমান বলেন,
“অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে হামলার ঘটনা স্পষ্ট দেখা গেছে। মেহেদীকে ধরতে অভিযান চালানো হয়েছে। তাঁর অবস্থান সম্পর্কে কেউ তথ্য দিলে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি।”
এ ঘটনায় আহত গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন।
আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, “এ ঘটনায় গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে একটি, মামলা করেছে ,আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”