London ১১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
চারঘাটে ডোবা থেকে যুবকের লা’শ উদ্ধার কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ কালিয়াকৈর উপজেলা সূত্রাপুর এলাকায় চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আগুনে পুড়ে ছাই কালিয়াকৈর ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারনে চরম ভোগান্তিতে দৈনন্দিন জনজীবন কালিয়া হরিপুরে নারীদের ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে তৃণমূল নারীদের জাগরণে ইব্রাহিম মোল্লা রাণীনগরে মৌসুমীর উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বিএনপির নতুন সদস্য সংহের ফরম বিতরন ও নবায়ন কমসুচি ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার সিরাজগঞ্জে চুরির মহামারি: সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি, নাগরিকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ কালিয়াকৈরে হাজী বাড়ী ফুটবল প্রিমিয়ার লীগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

শীতে জয়েন্টে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক

শীতকালে জয়েন্টে ব্যথা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। এ সময় যারা আর্থরাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থরাইটিস ও অস্ট্রিওআর্থরাইটিসের মতো হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছেন তাদের কষ্ট বহুলাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়া পেশি, লিগামেন্ট, হাড় ও স্নায়ুর ব্যথাও তীব্র হয়।

শীতকালে জয়েন্টের পুরনো ব্যথা নতুন করে শুরু হয়। অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় জয়েন্টের ব্যথা বিশেষ করে হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫-২০ শতাংশ বেড়ে যায়। বিভিন্ন আঘাত বা ভিতরে কোনো রোগের বিকাশের কারণেও জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষই পিঠ এবং হাঁটুর ব্যথায় ভোগেন। তবে নিতম্ব, হাত এবং কব্জিতেও ব্যথা থাকতে পারে। যা ঠাণ্ডায় বেড়ে যায়।

শীতকালে জয়েন্টের রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায়, এতে রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। আমাদের জয়েন্টে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামে একটি তরল থাকে। তাপমাত্রা কমে গেলে কিছুটা ঘন হয়ে যায়। ফলে জয়েন্টগুলোতে শক্ত হয়ে ব্যথা বাড়তে পারে। শীতকালে বাতাসের চাপ কমে যায়, যার ফলে টেন্ডন, পেশী এবং টিস্যু ফুলে যায়, যা জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে জয়েন্টে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে যা যা করণীয়—

# শীতকালে আপনি ঘামছেন না তার মানে এই নয় যে আপনার শরীর থেকে তরল বের হচ্ছে না। এই ঋতুতে বাতাস শুষ্ক হয়ে যায়। যার কারণে আপনার শরীর ত্বক এবং শ্বাসের মাধ্যমে আর্দ্রতা হারায়। এ সময় বেশি পানি পান করতে না পারেন তাহলে স্যুপ, হার্বাল চায়ের মতো উষ্ণ পানীয় খান। এতে শরীর গরম থাকবে এবং আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।

# ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে শরীরকে বাঁচাতে কাপড়ের নিচে একটি থার্মাল স্যুট পড়া যেতে পারে। গ্লাভস এবং মোজাও পরতে পারেন। তাপমাত্রা কম হলে বাইরে ব্যয়াম না করাই ভালো। শীতে শুকনো ফল খেতে হবে। এগুলো শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং ভিটামিন ই জয়েন্টগুলোতে লুব্রিকেশন বজায় রাখতে সহায়তা করে।

# নিয়মিত ব্যয়াম হাড় এবং পেশীকে শক্তিশালী করে। নিষ্ক্রিয় থাকার ফলে জয়েন্টগুলোতে ব্যথা এবং শক্ততা বৃদ্ধি পায়।

# ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে গরম রাখতে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়, তাই আমরা বেশি ক্ষুধার্ত বোধ করি। ফলে এ সময় ভাজা খাবার এবং চা, কফি খাওয়া বেড়ে যায়। তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

# ব্যথা হলে জয়েন্টগুলোতে হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন। এতে আপনার পেশীগুলো আরাম পাবে। হালকা গরম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে জয়েন্টগুলোতে আরামবোধ হয়। ব্যথা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধও খাওয়া যেতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
৭১
Translate »

শীতে জয়েন্টে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন

আপডেট : ০১:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

শীতকালে জয়েন্টে ব্যথা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। এ সময় যারা আর্থরাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থরাইটিস ও অস্ট্রিওআর্থরাইটিসের মতো হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছেন তাদের কষ্ট বহুলাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়া পেশি, লিগামেন্ট, হাড় ও স্নায়ুর ব্যথাও তীব্র হয়।

শীতকালে জয়েন্টের পুরনো ব্যথা নতুন করে শুরু হয়। অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় জয়েন্টের ব্যথা বিশেষ করে হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫-২০ শতাংশ বেড়ে যায়। বিভিন্ন আঘাত বা ভিতরে কোনো রোগের বিকাশের কারণেও জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষই পিঠ এবং হাঁটুর ব্যথায় ভোগেন। তবে নিতম্ব, হাত এবং কব্জিতেও ব্যথা থাকতে পারে। যা ঠাণ্ডায় বেড়ে যায়।

শীতকালে জয়েন্টের রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায়, এতে রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। আমাদের জয়েন্টে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামে একটি তরল থাকে। তাপমাত্রা কমে গেলে কিছুটা ঘন হয়ে যায়। ফলে জয়েন্টগুলোতে শক্ত হয়ে ব্যথা বাড়তে পারে। শীতকালে বাতাসের চাপ কমে যায়, যার ফলে টেন্ডন, পেশী এবং টিস্যু ফুলে যায়, যা জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে জয়েন্টে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে যা যা করণীয়—

# শীতকালে আপনি ঘামছেন না তার মানে এই নয় যে আপনার শরীর থেকে তরল বের হচ্ছে না। এই ঋতুতে বাতাস শুষ্ক হয়ে যায়। যার কারণে আপনার শরীর ত্বক এবং শ্বাসের মাধ্যমে আর্দ্রতা হারায়। এ সময় বেশি পানি পান করতে না পারেন তাহলে স্যুপ, হার্বাল চায়ের মতো উষ্ণ পানীয় খান। এতে শরীর গরম থাকবে এবং আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।

# ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে শরীরকে বাঁচাতে কাপড়ের নিচে একটি থার্মাল স্যুট পড়া যেতে পারে। গ্লাভস এবং মোজাও পরতে পারেন। তাপমাত্রা কম হলে বাইরে ব্যয়াম না করাই ভালো। শীতে শুকনো ফল খেতে হবে। এগুলো শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং ভিটামিন ই জয়েন্টগুলোতে লুব্রিকেশন বজায় রাখতে সহায়তা করে।

# নিয়মিত ব্যয়াম হাড় এবং পেশীকে শক্তিশালী করে। নিষ্ক্রিয় থাকার ফলে জয়েন্টগুলোতে ব্যথা এবং শক্ততা বৃদ্ধি পায়।

# ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে গরম রাখতে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়, তাই আমরা বেশি ক্ষুধার্ত বোধ করি। ফলে এ সময় ভাজা খাবার এবং চা, কফি খাওয়া বেড়ে যায়। তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

# ব্যথা হলে জয়েন্টগুলোতে হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন। এতে আপনার পেশীগুলো আরাম পাবে। হালকা গরম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে জয়েন্টগুলোতে আরামবোধ হয়। ব্যথা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধও খাওয়া যেতে পারে।