মাঘের শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে নীলফামারীর জনজীবন। গত দু’দিন ধরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার সাথে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে পথ-ঘাট। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি, দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষজন। দিনভর তারা খড়কুটে জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। হাঁড় কাপানো শীত আর হিমেল বাতাসের কারণে রাস্তা-ঘাট ও হাট-বাজারে লোকজনের সমাগম কমে গেছে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান বলেন এ যাবত জেলার ছয় উপজেলায় ৪০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে শীতের তীব্রতার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রার্দুভাব। নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আব্দুর রহিম জানান শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সীরা।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নীলফামারীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান ঘন কুয়াশার কারণে সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ১০০ মিটার। যার ফলে সকাল ৮টার ২টি ফাইট ওঠা-নামায় বিঘ্ন ঘটে।