London ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
কয়রায় বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যেদিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য দুবাইতে এশিয়া আরব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন প্রখ্যাত সমাজকর্মী মোশাররফ হোসেন চলন্তবাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানী: তিনদিন পর থানায় মামলা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে জামায়াতের গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টা একুশ মানে মাথানত না করার দৃঢ় প্রত্যয় শিশুদের নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে -নাসিম ফেরদৌস চৌধুরী নদীতে ভেসে উঠল নিখোঁজ ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ ভাষা আন্দোলনে সংবাদপত্র ও সম্পাদকের ভূমিকা শরীর ও মনকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করুন এই উপায়ে হারের পর যা বললেন শান্ত

শীতের বিদায়লগ্নে পর্যটকে মুখর কক্সবাজার

অনলাইন ডেস্ক

দরজায় কড়া নাড়ছে ঋতুরাজ বসন্ত। রাতে শীত অনুভূত হলেও দিনে বাড়ছে উষ্ণতা। এমন আবহাওয়ায় সমুদ্রের সান্নিধ্য পেতে কক্সবাজার ছুটে আসছেন ভ্রমণপ্রিয়রা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয় দর্শনার্থী মিলিয়ে ভিড় বাড়ছে দ্বিগুণ।

তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেডের বিপণন বিভাগের প্রধান ইমতিয়াজ নূর সোমেল জানান, চলতি মৌসুমে থার্টি ফার্স্ট থেকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি দুমাসই কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম রয়েছে। শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় অনেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে করপোরেট হাউজগুলোর অনেকে বার্ষিক প্রোগ্রামগুলো কক্সবাজারে করছেন। ফলে গতবছরের তুলনায় এবার সাপ্তাহিক বন্ধ বা খোলার দিনেও প্রায় সমান পর্যটক পাচ্ছে পর্যটনসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো।

শীতের বিদায়লগ্নে পর্যটকে মুখর কক্সবাজার

বিচ এলাকা ও আশপাশ ঘুরে দেখা যায়, সবখানেই উৎসবের আমেজে পর্যটক-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। অনেকে সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে মেতেছেন। কেউবা ঘোড়ায়, বিচ বাইক ও জেড স্কিতে চড়ছেন। কেউ তুলছেন ছবি। আবার কেউ পরিজন নিয়ে কিটকট চেয়ারে বসে উপভোগ করছেন ঢেউয়ের গর্জন।

সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে এসেছেন আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরিবারসহ প্রবাসে থাকি। সম্প্রতি দেশে এসেছি। সুযোগ পেয়ে পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এলাম।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট ক্লাব ও ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, চলতি মাসের শুরু থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ বন্ধ রয়েছে। এরপরও কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় আমাদের আশান্বিত করেছে।

 

কথা হয় নরসিংদীর রায়পুরার ব্যবসায়ী ইয়াছির আরাফাতের সঙ্গে। তিনি একটি কোম্পানির ডিলার। ইয়াছির বলেন, ‘বার্ষিক প্রোগ্রামে যোগ দিতে কক্সবাজার এসেছি। ব্যবসায়িক কাজের পাশাপাশি সাগর দেখার সুযোগ পেয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসা হয়েছে। অনেক ভালো লাগছে।’

সাগরে বিপদাপন্ন পর্যটকদের রক্ষায় কাজ করা সি সেইফ লাইফ গার্ডের দলনেতা মোহাম্মদ ওসমান বলেন, দুমাস ধরে পর্যটন জোন ও বেলাভূমিতে পর্যটক আসা অব্যাহত রয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা সতর্ক রয়েছি।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, পর্যটক উপস্থিতি নিয়মিত থাকায় বেজায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সময় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ফাগুনেও পর্যটক উপস্থিতি চলমান থাকবে বলে আশা করছি।

শীতের বিদায়লগ্নে পর্যটকে মুখর কক্সবাজার

কক্সবাজারকে একটি নিরাপদ পর্যটন জোন হিসেবে গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য সমৃদ্ধ পর্যটন। এটি নিশ্চিত হলে কক্সবাজারে সারাবছরই পর্যটকের কোলাহল থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:৫১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

শীতের বিদায়লগ্নে পর্যটকে মুখর কক্সবাজার

আপডেট : ১২:৫১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দরজায় কড়া নাড়ছে ঋতুরাজ বসন্ত। রাতে শীত অনুভূত হলেও দিনে বাড়ছে উষ্ণতা। এমন আবহাওয়ায় সমুদ্রের সান্নিধ্য পেতে কক্সবাজার ছুটে আসছেন ভ্রমণপ্রিয়রা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয় দর্শনার্থী মিলিয়ে ভিড় বাড়ছে দ্বিগুণ।

তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেডের বিপণন বিভাগের প্রধান ইমতিয়াজ নূর সোমেল জানান, চলতি মৌসুমে থার্টি ফার্স্ট থেকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি দুমাসই কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম রয়েছে। শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় অনেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে করপোরেট হাউজগুলোর অনেকে বার্ষিক প্রোগ্রামগুলো কক্সবাজারে করছেন। ফলে গতবছরের তুলনায় এবার সাপ্তাহিক বন্ধ বা খোলার দিনেও প্রায় সমান পর্যটক পাচ্ছে পর্যটনসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো।

শীতের বিদায়লগ্নে পর্যটকে মুখর কক্সবাজার

বিচ এলাকা ও আশপাশ ঘুরে দেখা যায়, সবখানেই উৎসবের আমেজে পর্যটক-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। অনেকে সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে মেতেছেন। কেউবা ঘোড়ায়, বিচ বাইক ও জেড স্কিতে চড়ছেন। কেউ তুলছেন ছবি। আবার কেউ পরিজন নিয়ে কিটকট চেয়ারে বসে উপভোগ করছেন ঢেউয়ের গর্জন।

সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে এসেছেন আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরিবারসহ প্রবাসে থাকি। সম্প্রতি দেশে এসেছি। সুযোগ পেয়ে পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এলাম।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট ক্লাব ও ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, চলতি মাসের শুরু থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ বন্ধ রয়েছে। এরপরও কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় আমাদের আশান্বিত করেছে।

 

কথা হয় নরসিংদীর রায়পুরার ব্যবসায়ী ইয়াছির আরাফাতের সঙ্গে। তিনি একটি কোম্পানির ডিলার। ইয়াছির বলেন, ‘বার্ষিক প্রোগ্রামে যোগ দিতে কক্সবাজার এসেছি। ব্যবসায়িক কাজের পাশাপাশি সাগর দেখার সুযোগ পেয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসা হয়েছে। অনেক ভালো লাগছে।’

সাগরে বিপদাপন্ন পর্যটকদের রক্ষায় কাজ করা সি সেইফ লাইফ গার্ডের দলনেতা মোহাম্মদ ওসমান বলেন, দুমাস ধরে পর্যটন জোন ও বেলাভূমিতে পর্যটক আসা অব্যাহত রয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা সতর্ক রয়েছি।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, পর্যটক উপস্থিতি নিয়মিত থাকায় বেজায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সময় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ফাগুনেও পর্যটক উপস্থিতি চলমান থাকবে বলে আশা করছি।

শীতের বিদায়লগ্নে পর্যটকে মুখর কক্সবাজার

কক্সবাজারকে একটি নিরাপদ পর্যটন জোন হিসেবে গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য সমৃদ্ধ পর্যটন। এটি নিশ্চিত হলে কক্সবাজারে সারাবছরই পর্যটকের কোলাহল থাকবে।