London ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ আজ আরও ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত গাজায় আক্রমণ আরও জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর ইউক্রেনে সোমবার পর্যন্ত ‘ইস্টার যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা পুতিনের পেঁয়াজ-সয়াবিন তেলের দামে বাজারে অস্বস্তি সোনার দামে নতুন রেকর্ড নাহিদ ইসলাম এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসাতে অভ্যুত্থান হয়নি শ্যামনগরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত, কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনগড়া লোডশেডিংয়ে, চরম বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালকিনিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

রোনালদোর মিশ্র রাত, ১২০ মিনিটের ম্যাচ শেষে সেমিতে পর্তুগাল

অনলাইন ডেস্ক

প্রথম লেগের পরেই রোনালদো বলেছিলেন, পরের লেগে ঘুরে দাঁড়াতে চান তিনি। এমনকি তার উদযাপন ডেনমার্ককে দেখাতে চান বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যদিও ম্যাচে নিজের শুরুটা ভাল হয়নি তার। মাত্র ৫ মিনিটেই মিস করেছিলেন পেনাল্টি। এরপর অবশ্য ৩৮ মিনিটে ডেনমার্কের আত্মঘাতী গোল পর্তুগালকে দেয় সাময়িক স্বস্তি। 

কিন্তু সেখান থেকে শুরু অন্যরকম উন্মাদনা। ডেনমার্কের কামব্যাক। রোনালদোর প্রায়শ্চিত্ত করা গোল। নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষের আগে পর্তুগাল স্কোরলাইন করে ৩-২। কিন্তু নেশন্স লিগের দুই লেগের কোয়ার্টারে তখন সমতা ৩-৩।

ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই পর্তুগাল নিজেদের সক্ষমতার জানান দিল পুরোদমে। ৫-২ ব্যবধানে শেষ হয় ম্যাচ। নেশন্স লিগের প্রথম আসরের শিরোপাজয়ীরা পা রাখে সেমিফাইনালে।

ম্যাচ শুরু হতেই ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পেয়েছিল পর্তুগাল। ডি-বক্সে রোনালদোকে পেছন থেকে ডিফেন্ডার প্যাট্রিক ডগু ধাক্কা দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে রোনালদোর শট সহজেই আটকান কাসপ্যার স্মাইকেল। তবে ৩৮তম মিনিটে পর্তুগিজ শিবিরে স্বস্তি ফেরে। ডেনমার্কের ডিফেন্ডার ইওয়াখিম আন্ডেরসেন কর্নারে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পাঠিয়ে দেন নিজেদের জালে।

৫৬তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের ক্রস পেয়ে চমৎকার হেডে দর্শনীয় এক গোল করেন ডিফেন্ডার গাসমুস ক্রিস্টেনসেন। দুই লেগের অ্যাগ্রিগেটে পিছিয়ে রোনালদোর দল। অবশেষে ৭২তম মিনিটে দলের মুখে হাসি ফোটান অধিনায়ক রোনালদো নিজেই। ব্রুনো ফার্নান্দেসের জোরাল শট পোস্টে বাধা পেয়ে দূরে সরে যায়। দুরূহ কোণ থেকে দুর্দান্ত শটে ম্যাচের স্কোরলাইন ২-১ করেন রোনালদো।

মিনিট চারেক পরেই অবশ্য গোল করে বসেন এরিকসেন। ফের অ্যাগ্রিগেটে এগিয়ে যায় ডেনিশরা। পর্তুগাল তখন বিদায়ের শঙ্কায়। অবশ্য নাটকীয়তাও শুরু সেখান থেকে। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে ডিফেন্ডার দিয়োগো দালোতকে তুলে ফরোয়ার্ড ফ্রান্সিসকো ট্রিনকাওকে মাঠে নামান পর্তুগাল কোচ। মাঠে নামার পাঁচ মিনিটের মধ্যে দারুণ গোলে করে অ্যাগ্রিগেটে সমতা আনেন ট্রিনকাও দলকে আশায় রাখেন স্পোর্তিংয়ের এই ফরোয়ার্ড।

অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হতেই আবারও দলকে উল্লাসে ভাসান এই ফরোয়ার্ড। এবার বক্সের ডান দিক থেকে গোলটি করেন তিনি। আর ১১৫ মিনিটে রোনালদোর বদলি নামা রামোসের গোলে বড় ব্যবধানে জিতেই সেমিতে চলে যায় পর্তুগাল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৫১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
১৪
Translate »

রোনালদোর মিশ্র রাত, ১২০ মিনিটের ম্যাচ শেষে সেমিতে পর্তুগাল

আপডেট : ০৩:৫১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

প্রথম লেগের পরেই রোনালদো বলেছিলেন, পরের লেগে ঘুরে দাঁড়াতে চান তিনি। এমনকি তার উদযাপন ডেনমার্ককে দেখাতে চান বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যদিও ম্যাচে নিজের শুরুটা ভাল হয়নি তার। মাত্র ৫ মিনিটেই মিস করেছিলেন পেনাল্টি। এরপর অবশ্য ৩৮ মিনিটে ডেনমার্কের আত্মঘাতী গোল পর্তুগালকে দেয় সাময়িক স্বস্তি। 

কিন্তু সেখান থেকে শুরু অন্যরকম উন্মাদনা। ডেনমার্কের কামব্যাক। রোনালদোর প্রায়শ্চিত্ত করা গোল। নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষের আগে পর্তুগাল স্কোরলাইন করে ৩-২। কিন্তু নেশন্স লিগের দুই লেগের কোয়ার্টারে তখন সমতা ৩-৩।

ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই পর্তুগাল নিজেদের সক্ষমতার জানান দিল পুরোদমে। ৫-২ ব্যবধানে শেষ হয় ম্যাচ। নেশন্স লিগের প্রথম আসরের শিরোপাজয়ীরা পা রাখে সেমিফাইনালে।

ম্যাচ শুরু হতেই ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পেয়েছিল পর্তুগাল। ডি-বক্সে রোনালদোকে পেছন থেকে ডিফেন্ডার প্যাট্রিক ডগু ধাক্কা দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে রোনালদোর শট সহজেই আটকান কাসপ্যার স্মাইকেল। তবে ৩৮তম মিনিটে পর্তুগিজ শিবিরে স্বস্তি ফেরে। ডেনমার্কের ডিফেন্ডার ইওয়াখিম আন্ডেরসেন কর্নারে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পাঠিয়ে দেন নিজেদের জালে।

৫৬তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের ক্রস পেয়ে চমৎকার হেডে দর্শনীয় এক গোল করেন ডিফেন্ডার গাসমুস ক্রিস্টেনসেন। দুই লেগের অ্যাগ্রিগেটে পিছিয়ে রোনালদোর দল। অবশেষে ৭২তম মিনিটে দলের মুখে হাসি ফোটান অধিনায়ক রোনালদো নিজেই। ব্রুনো ফার্নান্দেসের জোরাল শট পোস্টে বাধা পেয়ে দূরে সরে যায়। দুরূহ কোণ থেকে দুর্দান্ত শটে ম্যাচের স্কোরলাইন ২-১ করেন রোনালদো।

মিনিট চারেক পরেই অবশ্য গোল করে বসেন এরিকসেন। ফের অ্যাগ্রিগেটে এগিয়ে যায় ডেনিশরা। পর্তুগাল তখন বিদায়ের শঙ্কায়। অবশ্য নাটকীয়তাও শুরু সেখান থেকে। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে ডিফেন্ডার দিয়োগো দালোতকে তুলে ফরোয়ার্ড ফ্রান্সিসকো ট্রিনকাওকে মাঠে নামান পর্তুগাল কোচ। মাঠে নামার পাঁচ মিনিটের মধ্যে দারুণ গোলে করে অ্যাগ্রিগেটে সমতা আনেন ট্রিনকাও দলকে আশায় রাখেন স্পোর্তিংয়ের এই ফরোয়ার্ড।

অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হতেই আবারও দলকে উল্লাসে ভাসান এই ফরোয়ার্ড। এবার বক্সের ডান দিক থেকে গোলটি করেন তিনি। আর ১১৫ মিনিটে রোনালদোর বদলি নামা রামোসের গোলে বড় ব্যবধানে জিতেই সেমিতে চলে যায় পর্তুগাল।