গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল হালিম মোল্লা, এক সংগ্রামী নাম। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় যেখানে শত্রু-মিত্রের পার্থক্য মুছে যায়, সেখানে হালিম মোল্লা হয়ে উঠেছেন দলের নির্ভরতার প্রতীক। জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে, আওয়ামী লীগের দমননীতির সময় ‘ক্রসফায়ার তালিকায়’ থেকেও আল্লাহর রহমতে আজ তিনি জীবিত—এ যেন এক অলৌকিক বেঁচে থাকা।
দলের দুঃসময়ে, বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর ২০২৪-এর পর আন্দোলনের সময়ে, যখন বহু নেতা-কর্মী আত্মগোপনে, তখন হালিম মোল্লা ছিলেন রাজপথে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পুলিশের অস্ত্রের মুখেও পিছু হটেননি। কারণ, তিনি দেশ এবং জিয়া পরিবারকে হৃদয়ে ধারণ করেন। আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি তাঁর অন্ধ আনুগত্যই তাঁকে এমন সাহস দেয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তারেক রহমান নিজে একাধিকবার ফোনে কথা বলেন হালিম মোল্লা ভাইয়ের সঙ্গে এবং নির্দেশ দেন আন্দোলনের গতি বাড়ানোর। সেই নির্দেশনায় আরও উজ্জীবিত হন হালিম মোল্লা ও তাঁর সহযোদ্ধারা।
তিনি কেবল একজন নেতা নন—একজন অভিভাবকও। রাজনৈতিক মামলায় আটকে পড়া কর্মীদের জামিন, আইনি সহায়তা, এমনকি কারাগারের খরচ বহন করে চলেছেন নীরবে। তিনি বিশ্বাস করেন, “আল্লাহ যদি আমাকে ভালো রাখেন, আমি আমার প্রতিটি কর্মীকেও ভালো রাখার চেষ্টা করবো।”
রাজনীতির এই কঠিন সময়ে, যখন সরকার দলীয় বাহিনী ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে, তখন প্রয়োজন হালিম মোল্লাদের মতো আপোষহীন, সাহসী নেতার।
আমার বিনীত আহ্বান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিটি মহানগর এবং জেলাতে যেন এমন একজন হালিম মোল্লা থাকেন। যিনি দলের জন্য নিজের জীবনও দিতে প্রস্তুত থাকেন। আব্দুল হালিম মোল্লা শুধুই একটি নাম নয়, একটি প্রতীক—ত্যাগ, নেতৃত্ব এবং আপোষহীন আদর্শের প্রতীক।