London ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাজ্যের লিডসে কাব্যশীলনের বসন্তবরণ

অনলাইন ডেস্ক

বসন্তের স্নিগ্ধ আগমনে যুক্তরাজ্যের লিডসে হয়ে গেল বসন্তবরণ উৎসব। সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন কাব্যশীলনের উদ্যোগে ১৫ ফেব্রুয়ারি লিডসের একটি মিলনায়তনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, শ্রুতি-আলেখ্য পরিবেশিত হয়।

লিডস ও আশপাশের শহর থেকে বাঙালি ও অবাঙালি দর্শক আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন ইউক্রেনের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ও বান্দুরা বাদক একা। উৎসবে বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা অংশ নেন।

যুক্তরাজ্যের লিডসে কাব্যশীলনের বসন্ত বরণ

লিডসের প্রখ্যাত উপশাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী সুমনা বসু, সংগীতশিল্পী সৈয়দ হাসান, ওড়িশি নৃত্যশিল্পী জয়তী পাল, ধ্রুপদী ও লোকনৃত্যশিল্পী সুমাইয়া ইমাম সুচিতা ও অর্জিতা দাশ তাদের পরিবেশনায় মুগ্ধ করেন।

আরও অংশ নেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ড. মাট প্রিটচার্ড, লেখক ক্রিস্টিন কামেন্সিকোভা, কবি ও গল্পকার শ্রী গাঙ্গুলী, চিত্রশিল্পী ও আবৃত্তিকার নাজিয়া আমিন, আবৃত্তিশিল্পী সামান্তা ওয়াকার, নাজমা ইয়াসমিন, মিতুল ইফফাত, ডা. পাম ঘোষ, ডা. কানিজ ফাতেমা চৌধুরী, ডা. শারমীন নিজাম।

উত্তর ইংল্যান্ডের দুই প্রধান সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আলোড়ন’ ও ‘পূরবী’র প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। শিশুশিল্পী শ্রীয়াসি ভট্টাচারিয়া, আদিশ্বর ও প্রজ্ঞার পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখে।

যুক্তরাজ্যের লিডসে কাব্যশীলনের বসন্ত বরণ

সৌধের পরিচালক কবি টি এম আহমেদ কায়সার বলেন, ‘বসন্ত মানেই তারুণ্যের উদ্দীপনা, প্রাণের উচ্ছ্বাস এবং রঙের বৈচিত্র্য। কাব্যশীলন যে এ ধরনের একটি ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল আয়োজন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।’

কাব্যশীলনের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার রেজা বলেন, ‘বাংলা সংস্কৃতি এখন বিশ্ব সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বসন্ত বরণ উৎসবের মাধ্যমে সংস্কৃতির সৌন্দর্য, প্রাণচাঞ্চল্য ও উজ্জ্বলতা উদযাপন করে মানুষের হৃদয়ে স্পন্দন জাগানোর চেষ্টা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘বসন্ত যেমন প্রকৃতিতে নিয়ে আসে নতুন রং; তেমনই কাব্যশীলনের এ আয়োজন দর্শক হৃদয়ে অনন্য রঙের ছোঁয়া দিয়ে গেল। বাংলা সংস্কৃতি যে বিশ্বজনীন; সে বার্তাই তুলে ধরলো কাব্যশীলন।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

যুক্তরাজ্যের লিডসে কাব্যশীলনের বসন্তবরণ

আপডেট : ১২:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বসন্তের স্নিগ্ধ আগমনে যুক্তরাজ্যের লিডসে হয়ে গেল বসন্তবরণ উৎসব। সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন কাব্যশীলনের উদ্যোগে ১৫ ফেব্রুয়ারি লিডসের একটি মিলনায়তনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, শ্রুতি-আলেখ্য পরিবেশিত হয়।

লিডস ও আশপাশের শহর থেকে বাঙালি ও অবাঙালি দর্শক আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন ইউক্রেনের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ও বান্দুরা বাদক একা। উৎসবে বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা অংশ নেন।

যুক্তরাজ্যের লিডসে কাব্যশীলনের বসন্ত বরণ

লিডসের প্রখ্যাত উপশাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী সুমনা বসু, সংগীতশিল্পী সৈয়দ হাসান, ওড়িশি নৃত্যশিল্পী জয়তী পাল, ধ্রুপদী ও লোকনৃত্যশিল্পী সুমাইয়া ইমাম সুচিতা ও অর্জিতা দাশ তাদের পরিবেশনায় মুগ্ধ করেন।

আরও অংশ নেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ড. মাট প্রিটচার্ড, লেখক ক্রিস্টিন কামেন্সিকোভা, কবি ও গল্পকার শ্রী গাঙ্গুলী, চিত্রশিল্পী ও আবৃত্তিকার নাজিয়া আমিন, আবৃত্তিশিল্পী সামান্তা ওয়াকার, নাজমা ইয়াসমিন, মিতুল ইফফাত, ডা. পাম ঘোষ, ডা. কানিজ ফাতেমা চৌধুরী, ডা. শারমীন নিজাম।

উত্তর ইংল্যান্ডের দুই প্রধান সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আলোড়ন’ ও ‘পূরবী’র প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। শিশুশিল্পী শ্রীয়াসি ভট্টাচারিয়া, আদিশ্বর ও প্রজ্ঞার পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখে।

যুক্তরাজ্যের লিডসে কাব্যশীলনের বসন্ত বরণ

সৌধের পরিচালক কবি টি এম আহমেদ কায়সার বলেন, ‘বসন্ত মানেই তারুণ্যের উদ্দীপনা, প্রাণের উচ্ছ্বাস এবং রঙের বৈচিত্র্য। কাব্যশীলন যে এ ধরনের একটি ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল আয়োজন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।’

কাব্যশীলনের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার রেজা বলেন, ‘বাংলা সংস্কৃতি এখন বিশ্ব সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বসন্ত বরণ উৎসবের মাধ্যমে সংস্কৃতির সৌন্দর্য, প্রাণচাঞ্চল্য ও উজ্জ্বলতা উদযাপন করে মানুষের হৃদয়ে স্পন্দন জাগানোর চেষ্টা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘বসন্ত যেমন প্রকৃতিতে নিয়ে আসে নতুন রং; তেমনই কাব্যশীলনের এ আয়োজন দর্শক হৃদয়ে অনন্য রঙের ছোঁয়া দিয়ে গেল। বাংলা সংস্কৃতি যে বিশ্বজনীন; সে বার্তাই তুলে ধরলো কাব্যশীলন।’