সারি সারি চা বাগান। পাখির কলরবে মুখর হাইল হাওর। সবুজে ঘেরা বিস্তীর্ণ টিলা। চমৎকার সব রিসোর্ট। চায়ের রাজধানী হিসেবে খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। কিন্তু জৌলুস হারিয়ে দিন দিন নষ্ট হচ্ছে এই শ্রীমঙ্গল কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পর্যটন সম্ভাবনা।
দেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাময় জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম মৌলভীবাজার। পাহাড় আর হাওরবেষ্টিত বৈচিত্র্যপূর্ণ এই জেলায় রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত মাধবকুণ্ড, কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, ছায়ানিবিড় পরিবেশে অবস্থিত নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, বৃহত্তম হাওর হাকালুকি, সবুজ চা-বাগান, খাসিয়াপল্লি, হামহাম জলপ্রপাত, মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জি, চা-গবেষণা কেন্দ্র, কুলাউড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাববাড়ি, মুরইছড়া ইকোপার্ক, গগণটিলা, দোলনচাঁপা ইকোপার্ক, বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক, মুন ব্যারাজ ও রাজনগরের কমলারানির দিঘিসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। অথচ দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক ধরে পর্যটন শিল্পের এ সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায়নি।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে মৌলভীবাজারকে পর্যটন জেলা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে সংরক্ষিত বনাঞ্চল, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক উন্নয়নের মধ্যেই পর্যটন বিকাশের ধারণা আটকে আছে। এছাড়া চা-বাগান, হাওর, পাহাড় ও সমতলের বৈচিত্র্যপূর্ণ জনপদ ঘিরে পর্যটনের অমিত সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে এখানে আধুনিক মানের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট গড়ে উঠলেও পর্যটন শিল্পের সামগ্রিক বিকাশ হয়নি। পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান সেভাবে গড়ে ওঠেনি। ফলে চাঙা হয়নি ব্যবসা-বাণিজ্য। এ অবস্থায় পর্যটনকেন্দ্র, জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান নতুনভাবে সাজানোর কথা বলেন পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এখানে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হলে চাকরি ও কর্মসংস্থান বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে জেলা প্রশাসনের স্লোগান ছিল ‘প্রকৃতি মুখরিত মৌলভীবাজার’। পরে এটি পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘চায়ের দেশ মৌলভীবাজার’। নাম পরিবর্তন হলেও গত ১৬ বছরে পর্যটন শিল্পের বিকাশে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। বেসরকারিভাবে আধুনিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট গড়ে উঠলেও পর্যটক কম আসায় অনেক ব্যবসায়ী হতাশায় ভুগছেন। পর্যটক আকৃষ্ট করতে এখানকার পর্যটনকেন্দ্রগুলো নতুন করে সাজানো, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অবকাঠামোর আধুনিকায়ন, বিমানে যাতায়াতের ব্যবস্থা, পর্যটকদের সুরক্ষা, উন্নত সেবা নিশ্চিত এবং বাড়তি খরচ কমিয়ে কম খরচে সবার যাতায়াত নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে এখানকার দর্শনীয় স্থান নিয়ে বৈচিত্র্যময় শিল্পের প্রচারণা চালাতে হবে। তবেই পর্যটক শিল্প বিকশিত হবে। এর মধ্য দিয়ে চাকরি ও কর্মসংস্থান বাড়বে। একইসঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি চাঙা হবে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখানে সব মৌসুমে দেশি-বিদেশি পর্যটকের যাতায়াত থাকে। তবে যে পরিমাণ পর্যটক আসার কথা কিংবা যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য হওয়ার কথা সেভাবে হচ্ছে না। অথচ জেলায় বিপুল সংখ্যক পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর স্মৃতিসৌধ, মণিপুরীপাড়া, খাসিয়াপল্লি, হামহাম জলপ্রপাত, ছয়সিঁড়ি দিঘি, ক্যামেলিয়া লেক, পাত্রখোলা লেক, পদ্মছড়া লেক, বামবুতল লেক, হরিনারায়ণ দিঘি, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের সবুজে আচ্ছাদিত চা বাগান, রাবার বাগান, বধ্যভূমি একাত্তর চত্বর, হাইল হাওর, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, মুন ব্যারাজ ও বর্ষিজোড়া ইকো পার্ক। এছাড়া প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা একাধিক ঝরনা আর পাহাড় রয়েছে। সেই সঙ্গে টিলার বুকজুড়ে সবুজ গালিচায় মোড়ানো দৃষ্টিনন্দন চা বাগান আছে একাধিক।
হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, জেলায় রয়েছে দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউজ। এর মধ্যে শ্রীমঙ্গলের পাঁচতারকা হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ, সদরের নিতেশ্বর এলাকার দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা উল্লেখযোগ্য। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে পরের বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব হোটেলের শতভাগ কক্ষ বুকিং থাকে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের শুরু থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। সে অবস্থা এখনও কাটেনি।
তারা বলেন, গত ১৬ বছরে জেলার পর্যটন খাতে কোনো রকমের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সবকটি পর্যটনকেন্দ্রের অবকাঠামোগত অবস্থা আগের আমলের। এগুলো আকর্ষণীয় করতে কোনো রকমের উদ্যোগ নেই জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের। নেই পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। বহু বছরের পুরোনো এসব পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের উপস্থিতি কমে গেছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও নতুনত্ব না থাকায় একবার কোনো পর্যটক এলে দ্বিতীয়বার আসে না। আবার অনেকে ফিরে গিয়ে অন্যদের নিরুৎসাহিত করছেন। পর্যটক সংকটে বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ কেউ ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন।
জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় হিলভিউ গেস্টহাউজ, লাউয়াছড়া ইকো কটেজসহ কয়েকটি হোটেল-রিসোর্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এই বছরই ভাড়া দেওয়া হয়েছে এসকেডি আমার বাড়ি রিসোর্ট।
এ ব্যাপারে আমার বাড়ি রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী সজল দাশ বলেন, ‘পর্যটক কম আসায় প্রতি মাসে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই রিসোর্ট ভাড়া দিয়েছি। মাসের পর মাস লোকসান দেওয়া সম্ভব নয়।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পর্যটকের খরা কাটিয়ে উঠতে ২০১৭ সালে জেলা প্রশাসন থেকে পর্যটন শিল্পের বিকাশ, সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করে একটি কর্মকৌশল প্রণয়ন করা হয়েছিল। কিন্তু গত ছয় বছরেও এর কোনোটি বাস্তবায়ন হয়নি। কর্মকৌশল রয়ে গেছে কাগজে-কলমে। এছাড়া ২০২২ সালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সভায় নেওয়া অনেকগুলো সিদ্ধান্ত আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
পর্যটক সংকটের মধ্যেও রাধানগর এলাকার প্যারাগন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট নতুন আঙ্গিকে কার্যক্রম শুরু করেছে। পর্যটক টানতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান রিসোর্টটির মহাব্যবস্থাপক গাজী কে রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এবং অনেক আশা নিয়ে রিসোর্টটি নতুন আঙ্গিকে সাজিয়েছি। আশা করছি, এতে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে এবং অনেকের আগমন ঘটবে।’
সিনিয়র ট্যুর গাইড সৈয়দ রিজভী বলেন, ‘শহরে ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার স্থাপন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ, সব পর্যটনকেন্দ্রে দিক-নির্দেশনামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন এবং পর্যটন জেলা হিসেবে সরকারি গেজেট প্রকাশের কথা জানালেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি জেলা প্রশাসন ও পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা। ফলে পর্যটকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।’
মৌলভীবাজারের জুড়ীর সন্ধানী ঝরনা/
পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি মো. সেলিম আহমদ বলেন, ‘দিন দিন পর্যটকরা এখান থেকে বিমুখ হয়ে পড়ছেন। করোনার পর থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি আমরা, কিন্তু পারিনি। পর্যটক সংকটে সব হোটেল-রিসোর্টের অর্থনৈতিক অবস্থা নড়বড়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু রিসোর্ট বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে মিটিং করে দাবি জানাই, কিন্তু আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হয় না। বিশেষ করে এলাকার রাস্তাঘাট নোংরা এবং চারপাশ জঙ্গলে ভরা। এতে পোকামাকড় ও সাপের ভয়ে ঝুঁকি নিয়ে আসতে চান না পর্যটকরা।’
‘বেশ কয়েকবার শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে এসেছি। সবকিছু আগের মতোই। নতুন কিছু নেই। এখানকার হোটেল–রিসোর্টে এত ভাড়া! এর চেয়ে কক্সবাজার বা ভারতে গিয়ে ঘুরে আসা যায়। টাকা বেশি নিক, সমস্যা নেই। সমস্যা হলো, যে টাকা নিচ্ছে, তার মতো সেবা তো মিলছে না।’- ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা মামুন চৌধুরী
রাজনৈতিক পালাবদল ও মূল্যস্ফীতিতে পর্যটকের সংখ্যা কমছে বলে ধারণা পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। পর্যটকদের ভাষ্য, ট্রেনের পর্যাপ্ত টিকিট না থাকা, ভাঙা রাস্তা, চিত্তবিনোদনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা, সেবার তুলনায় হোটেল রিসোর্টে বেশি খরচের কারণে পর্যটকরা সেখানে যেতে চান না।
লাউয়াছড়ায় ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা মামুন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বেশ কয়েকবার শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে এসেছি। সবকিছু আগের মতোই। নতুন কিছু নেই। এখানকার হোটেল–রিসোর্টে এত ভাড়া! এর চেয়ে কক্সবাজার বা ভারতে গিয়ে ঘুরে আসা যায়। টাকা বেশি নিক, সমস্যা নেই। সমস্যা হলো, যে টাকা নিচ্ছে, তার মতো সেবা তো মিলছে না।’
ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাপস দাশ বলেন, ‘তিন-চার বছর আগে এখানে প্রচুর পর্যটক আসত। এখন সেটা কম। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সিলেটের বন্যার প্রভাবে এই ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি এখানকার যাতায়াতের ভোগান্তির কারণে অনেকেই আসতে চান না। আমরা বারবার দাবি জানিয়েছি, এখানে একটি সরকারি বা বেসরকারি ট্যুর ইনফরমেশন সেন্টার করার জন্য, যেখান থেকে পর্যটকরা সহজে সব তথ্য পাবেন। কিন্তু হচ্ছে না। হাইল হাওর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে কিছু করা হলে ভালো হতো।’
পর্যটকরা চাঁদের গাড়ি ভাড়া করে দর্শনীয় বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন। শ্রীমঙ্গলে এমন গাড়ির সংখ্যা প্রায় ৬০টি। পাঁচ তারকা হোটেল-রিসোর্ট থেকে শুরু করে সাধারণ সব হোটেল-রিসোর্ট এবং শ্রীমঙ্গল পৌর শহর থেকে পর্যটকরা চাঁদের গাড়ি বুকিং করেন। প্রায় দুই বছর যাবত শ্রীমঙ্গলে এই গাড়িগুলো লাল রঙের হয়ে গেছে।
চাঁদের গাড়ির চালক সোহাগ জানান, গাড়ির মালিকরা পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে লাল রঙ করেছেন। এতে পর্যটকরাও বেশ খুশি হন। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার পর্যটক অনেক কম।
গাড়ির চালকেরা ট্যুর গাইডেরও কাজ করে থাকেন। তাদের পরিচিত এলাকা হওয়ায় পর্যটকদের সঠিকভাবে গাইড করতে পারেন তারা।
চালক লালন বলেন, ‘পর্যটনের একটাই মৌসুম আমাদের, তা হচ্ছে শীতকাল। যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া ঠিকঠাক করেই ভ্রমণ শুরু করি। বেশির ভাগ যাত্রীই ভ্রমণে খুশি হন। কেউ কেউ ভালো বকশিশও দেন।’
কমলগঞ্জ পর্যটন উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মো. শাহীন আহমেদ জানান, চাঁদের গাড়িতে বেরিয়ে পর্যটকরা যথেষ্ট আনন্দ উপভোগ করেন। ব্যতিক্রম ছাড়া, চালকরা খুব আন্তরিক।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পর্যটন সেলের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাওন মজুমদার সুমন বলেন, ‘প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পর্যটনকেন্দ্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে। পর্যটকদের কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিভিন্ন সময় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ফুটিয়ে তুলতে কাজ করা হয়। সার্বিক সহযোগিতাও প্রদান করা হয়। আগামী মাসে শ্রীমঙ্গলে হারমনি ফেস্টিভ্যাল।’
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, ‘পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে আরও পর্যটক কীভাবে আকৃষ্ট করা যায়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। বিশেষ করে নতুন পর্যটনকেন্দ্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, যাতে পর্যটকরা সেগুলো দেখে মুগ্ধ হন। বিদেশি পর্যটক টানতে আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছি আমরা। সম্প্রতি মাধবপুরে লেকেও কিছু কাজ করা হয়েছে।’