এই ম্যাচে মোট খেলা হয় ১৭৭.২ ওভার। যা পাকিস্তানের মাটিতে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত টেস্ট ম্যাচের রেকর্ড। রোববার তৃতীয় দিনে পাকিস্তানের হাতে ছিল ৭ উইকেট। তবে ১৪.৪ ওভারে স্কোরকার্ডে মাত্র ৪৮ রান যোগেই অল আউট হয় স্বাগতিকরা। ইনিংসে ৩২ রানে ৭ উইকেট নেন জোমেল ওয়ারিকান। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফার নেন এই বোলার। বাঁহাতি এই স্পিনারের এটি শুধু ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার সেরাই নয়, পাকিস্তানেও সফরকারী কোনো স্পিনারের সেরা বোলিং ফিগার। চতুর্থ ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় পাকিস্তান। তবে লাঞ্চের মধ্যেই সফরকারীদের বিপাকে ফেলে দেন স্পিনার সাজিদ খান। তার বোলিং ঘূর্নিতে দলীয় ৫৪ রানেই ৫ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়রা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও নিষ্প্রভ ছিল ব্যাটাররা। শেষের তিনজনের থেকে দেখা যায়নি কোনোপ্রকার প্রতিরোধও। এদিন দলের হয়ে একমাত্র বড় ইনিংসের দেখা মেলে পাঁচে নামা আলিক আথানেজ। সিনক্লেয়ারকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ২৮ রানে ১০.৩ ওভারের জুটি স্থায়ী করেন তিনি। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সিনক্লেয়ার। এরপর বাকি তিন উইকেটের পতনে প্রয়োজন পড়ে মাত্র ১০
বল। ৬৮ বলে ব্যক্তিগত ৫৫ রানে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি আথানেজ। এদিন সফরকারী দলের চার ব্যাটার আউট হন রানের খাতা না খুলেই। দুই ইনিংস মিলে ১০১ রান খরচে ১০ উইকেট নেন ক্যারিবিয় বোলার ওয়ারিকান। এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ১০ উইকেটের নজির। এমনকি পাকিস্তানের মাটিতে কোনো ক্যারিবীয় বোলারের সেরা বোলিং ফিগারও এটিই। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা পাকিস্তানের সাজিদ খান। দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। ২৫শে জানুয়ারি দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট গড়াবে মুলতানেই।