মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প নেপিডোর সড়ক ফেটে চৌচির, ব্যাংককে ভেঙে পড়ল বাড়ি

মিয়ানমারে পরপর দুবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর প্রথমটি ছিলো ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এবং পরেরটির মাত্রা ছিলো ৬.৪। এর ফলে দেশটির রাজধানী নেপিডোর সড়কে বড় ধরণের ফাটল দেখা দিয়েছে। নেপিডোর একটি প্যাগোডা ভেঙে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এছাড়া মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে একাধিক বহুতল ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। কয়েকটি সূত্রে দাবি, মান্দালয়ে একটি মসজিদ ভেঙে পড়েছে। তার নীচে চাপা পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।দেশটিতে আরও অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে ভূমিকম্পের ফলে ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে হোটেল, শপিং মল কাঁপতে শুরু করে। সেখানে ভেঙে পড়ে একটি নির্মাণাধীন বাড়ি। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের ফলে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান কেঁপে উঠেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বেলা ১২টা ২০ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো মিয়নমারের সাংহাই রাজ্যে।রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার এ ভূমিকম্প মিয়ানমার, ভারত, লাওস, থাইল্যান্ড এবং চীনেও অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তি সমতল থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।
তবে ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে কতটা কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কারও প্রাণহানি হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ভূমিকম্পের প্রথমটির উৎসকেন্দ্র মায়ানমারের সাংহাই প্রদেশের ১২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। আর দ্বিতীয়টির উৎসকেন্দ্র মায়ানমারের লকসকের ১৫১ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। দু’টি কম্পনের ক্ষেত্রেই উৎপত্তিস্থলটি ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নীচে।
আবহাওয়া অধিদফতরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাঈয়্যাৎ কবীর বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আইএ