ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শোয়াইবনগর কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদাকে অফিসে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রেখে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার মাদরাসার কম্পিউটার ল্যাব ভাড়া দেওয়া হয়। ওই সময় ল্যাবে ভাড়া নেওয়া প্রশিক্ষণার্থীরা নাচ-গান করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
মাদরাসায় নাচ-গানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। পরে রোববার সকালে মাদরাসা খোলা হলে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন।এরপর অধ্যক্ষের কক্ষে ভেতর থেকে দরজা আটকিয়ে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তখন কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম মাদরাসায় উপস্থিত হয়ে অফিসকক্ষের দরজা খোলার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। পরে বাধ্য হয়ে দুপুর ২টার দিকে জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদা।এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন, একজন অধ্যক্ষকে এভাবে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে নেওয়া কাম্য নয়। আমি শিক্ষার্থীসহ ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরতদের আমার কার্যালয়ে ডেকেছি। আশা করি, এর একটা সুরাহা করতে পারবো।