London ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:

মাদকের টাকা জোগাড় করতে কুকুর জবাই করে খাসির মাংস বলে বিক্রয়ের অভিযোগ।

অনলাইন ডেস্ক

 

 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নে হেলেঞ্চাগ্রামের আবু বক্কর শেখের ছেলে সুজন শেখ(২৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে এমন নিকৃষ্ট কাজের অভিযোগ উঠেছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার বেলা ২ টার দিকে হেলেঞ্চা বাজারের পাশে ঘাস ক্ষেতে বসে কুকুরের মাংস কাটতে দেখতে পায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাশার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , সুজন এর আগেও কুকুর জবাই করে অন্য এলাকায় গিয়ে খাসির মাংস বলে বিক্রয় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সে একজন মাদকাসক্ত ও মাদক বিক্রিতা, দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের সোর্স হয়ে কাজ করে। সে পুলিশের সাথে যোগসাযোসে বহু নিরীহ যুবক ছেলেদের পকেটে মাদক ঢুকিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে মানুষের বাড়িতে চুরি করা থেকে শুরু করে, মোবাইল,টিউবওয়েলের মাথা,ছাগল, বাড়িঘরের আসবাবপত্র চুরির এমন অভিযোগ তুলছে সর্বসাধারণ, তার সকল অপকর্ম মূলত মাদকের টাকা জোগাড় করতে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্হানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাশার সেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আমি ঘাস কাটার উদ্যশে মাঠে গেলে কোন একটা শব্দ শুনতে পাই,বুঝতে চেষ্টা করি এটা কিসের শব্দ কিছু সময় পর, দূর থেকে দেখতে পাই সুজন ধারালো ছুরি দিয়ে মাংস কাটছে।আমি জানি যে সুজন নেশা করে,এখানে নির্জনে বসে মাংস কাটছে এ কারনে ভয়ে আমি একা না গিয়ে হাফিজুর গাজিকে ফোন করে আসতে বলি,এর মাঝে সুজন আমার উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।হাফিজুর আসার পর সেখানে গিয়ে আমরা দেখতে পাই কুকুরের মাংস,মাথা এবং পা পরে আমরা সুজনের স্ত্রীকে সংবাদ দিয়ে এনে তাকে দেখিয়ে বলি ঔগুলা নিয়ে মাটির গর্তকরে পুতে রাখতে।

এ প্রসঙ্গে সুজন শেখের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে সহ কাউকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি,এ ঘটনার পর থেকে সুজন পলাতক রয়েছে বলে জানায় এক প্রতিবেশী, তার ভয়ে মূখ খুলতে পারেনা প্রতিবেশীরা।

বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু মিয়ার সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে বলেন,এমন ঘটনা শুনেছি তবে বাজারে বসলেই এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।ও আসলে মাদকাসক্ত ওর বাড়ির কাউকে মানে না, কথাও শুনে না।পুলিশ ওকে একবার ধরে নিয়ে গিয়েছিল তার পর থেকে ও পুলিশের সোর্স হয়ে কাজ করছে।আমরা সত্যিকারে ব্যার্থ যদি নিজে নিজে ভালো হয়তো ভালো তা না হলে আমাদের কি করার আছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:২৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
২৮
Translate »

মাদকের টাকা জোগাড় করতে কুকুর জবাই করে খাসির মাংস বলে বিক্রয়ের অভিযোগ।

আপডেট : ০১:২৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নে হেলেঞ্চাগ্রামের আবু বক্কর শেখের ছেলে সুজন শেখ(২৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে এমন নিকৃষ্ট কাজের অভিযোগ উঠেছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার বেলা ২ টার দিকে হেলেঞ্চা বাজারের পাশে ঘাস ক্ষেতে বসে কুকুরের মাংস কাটতে দেখতে পায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাশার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , সুজন এর আগেও কুকুর জবাই করে অন্য এলাকায় গিয়ে খাসির মাংস বলে বিক্রয় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সে একজন মাদকাসক্ত ও মাদক বিক্রিতা, দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের সোর্স হয়ে কাজ করে। সে পুলিশের সাথে যোগসাযোসে বহু নিরীহ যুবক ছেলেদের পকেটে মাদক ঢুকিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে মানুষের বাড়িতে চুরি করা থেকে শুরু করে, মোবাইল,টিউবওয়েলের মাথা,ছাগল, বাড়িঘরের আসবাবপত্র চুরির এমন অভিযোগ তুলছে সর্বসাধারণ, তার সকল অপকর্ম মূলত মাদকের টাকা জোগাড় করতে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্হানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাশার সেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আমি ঘাস কাটার উদ্যশে মাঠে গেলে কোন একটা শব্দ শুনতে পাই,বুঝতে চেষ্টা করি এটা কিসের শব্দ কিছু সময় পর, দূর থেকে দেখতে পাই সুজন ধারালো ছুরি দিয়ে মাংস কাটছে।আমি জানি যে সুজন নেশা করে,এখানে নির্জনে বসে মাংস কাটছে এ কারনে ভয়ে আমি একা না গিয়ে হাফিজুর গাজিকে ফোন করে আসতে বলি,এর মাঝে সুজন আমার উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।হাফিজুর আসার পর সেখানে গিয়ে আমরা দেখতে পাই কুকুরের মাংস,মাথা এবং পা পরে আমরা সুজনের স্ত্রীকে সংবাদ দিয়ে এনে তাকে দেখিয়ে বলি ঔগুলা নিয়ে মাটির গর্তকরে পুতে রাখতে।

এ প্রসঙ্গে সুজন শেখের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে সহ কাউকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি,এ ঘটনার পর থেকে সুজন পলাতক রয়েছে বলে জানায় এক প্রতিবেশী, তার ভয়ে মূখ খুলতে পারেনা প্রতিবেশীরা।

বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু মিয়ার সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে বলেন,এমন ঘটনা শুনেছি তবে বাজারে বসলেই এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।ও আসলে মাদকাসক্ত ওর বাড়ির কাউকে মানে না, কথাও শুনে না।পুলিশ ওকে একবার ধরে নিয়ে গিয়েছিল তার পর থেকে ও পুলিশের সোর্স হয়ে কাজ করছে।আমরা সত্যিকারে ব্যার্থ যদি নিজে নিজে ভালো হয়তো ভালো তা না হলে আমাদের কি করার আছে।