কক্সবাজারের বদরখালীতে মহেশখালীর এক তরুণীকে গণধর্ষণ ঘটনার রেশ কাটেনি এখনো। এরই মাঝে মহেশখালীতে বসতঘরে ঢুকে এক গৃহবধুকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর নগদ টাকা লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই গৃহবধুর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে জানা যায়।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত ২ টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের সোনা পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী গৃহবধু জানান, রাতের খাবার শেষে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। জানালা ভেঙ্গে সন্ত্রাসীরা কক্ষে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মুখ ও হাত পা চেপে ধরে। তিনি যাতে চিৎকার করতে না পারে সে জন্য তার মুখ ও হাত পা বেঁধে ফেলে। এরপর তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয় এবং দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী গৃহবধুর স্বামী জানান, তিনি রাতে রোগী নিয়ে হাসপাতালে ছিলেন।
এবিষয়ে পুলিশকে জানাতে মানা করেন। ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। তার স্ত্রীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তিনি হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তার স্ত্রী একা ছিলেন। এই সুযোগে ৩/৪ জন সন্ত্রাসী বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীকে মুখ ও হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এসময় নগদ টাকাও লুট করে নিয়ে যায় তারা। তিনি আরো জানান, সকাল থেকে এলাকার লোকজন ধর্ষণ ও টাকা লুটের দেখতে মানুষের ভীর জমে যায়।
এলাকাবাসী জানান, কালারমারছড়া সোনাপাড়া গ্রামের জাফর আলমের পুত্র চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইয়াসিন এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত। ইয়াসিন এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্ব দেয়। সেই ভয়ে ভিকটিমের পরিবার ইয়াসিনের নাম নিতে ভয় পাচ্ছে। মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গৃহবধুর শরীরের বিভিন্নস্থানে একাধিক কামড় ও আঁচড়ের চিহ্ন মিলেছে। প্রাথমিক পরীক্ষানিরীক্ষায় যৌন নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে।
মহেশখালী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জাজাউল, হামিদ, তানজিদ জানান, গৃহবধু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় কালারমারছড়া বাজারে তারা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও তুলেন তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ আলী জানান, ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়।
এই বিষয়ে মহেশখালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ বলেন বিষয়টি নিয়ে তারা কাজ করছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নেয়া হয়েছে।