London ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বহু-বিবাহ ও ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১০ গুণীজন মেডিকেলে ভর্তির টাকা এখনো জোগাড় হয়নি ইমার যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেশার কুকারে রান্না করলেন সাবেক সৈনিক খোলাবাজার থেকে ১০ হাজার বিনামূল্যের পাঠ্যবই জব্দ, গ্রেপ্তার ২ শেরপুরে মাধ্যমিকের ৯ হাজার সরকারি বই জব্দ! আটক ১ মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থের অভাবে ডাক্তারী লেখা পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রান্তি ও পরিবার খাগড়াছড়িতে একক আধিপত্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার, গড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ নোয়াখালীতে শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই ১১ দোকান

মনে আছে বিশ্বজিৎ… ফিরবে না আবরার : আসিফ নজরুল

হত্যা-নির্যাতনসহ নানা বিতর্কিত কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এরপরই ছাত্রলীগের হামলায় নিহত আলোচিত তিনজনের ছবি পোস্ট করে স্ট্যাটাস দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

গতকাল বুধবার রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশর বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ, পুরান ঢাকার বিশ্বজিৎ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী আবু বকরের ছবি নিজের ফেসবুকে আলাদা আলাদা স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পোস্ট করেন আসিফ নজরুল।২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের হাতে নিহত আবরার ফাহাদের ছবি প্রথমে পোস্ট করেন তিনি। সেখানে আসিফ নজরুল লিখেন, ‘কোনো দিন ফিরবে না, আমাদের আবরার!’

বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবরার। তাকে শিবির আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ওই হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড আর ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয় আদালত।

এরপরই পোস্ট করেন ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় দরজি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কোপানোর একটি ছবি। আসিফ নজরুল লেখেন, ‘মনে আছে বিশ্বজিৎ!’

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনে দুপুরে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস। তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ওই হত্যার একবছর পর ঢাকার দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে মামলার রায়ে ২১ জনের মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছিল। পরে, সেই মামলায় ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে, ছয়জনকে রেহাই দেন। মামলা থেকে খালাস দেয়া হয় চারজনকে। ওই মামলার আসামিদের মধ্যে এখনও পলাতক ১৩ জন।

সবশেষ পোস্ট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু বকরের ছবি। ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে এক দিন পর মারা যান তিনি।

আসিফ নজরুল লেখেন, ‘এই বিচার বাকি আছে। হৃদয়ে আবু বকর।’

২০১৭ সালেই আবু বকর হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক ১০ নেতা-কর্মীর সবাই বেকসুর খালাস পান। সব আসামি খালাস পাওয়ায় কে বা কারা আবু বকরকে খুন করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি, রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিলও করেনি। ফলে বিচার ছাড়া ওই মামলা সেখানেই শেষ হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
১৯
Translate »

মনে আছে বিশ্বজিৎ… ফিরবে না আবরার : আসিফ নজরুল

আপডেট : ১২:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

হত্যা-নির্যাতনসহ নানা বিতর্কিত কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এরপরই ছাত্রলীগের হামলায় নিহত আলোচিত তিনজনের ছবি পোস্ট করে স্ট্যাটাস দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

গতকাল বুধবার রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশর বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ, পুরান ঢাকার বিশ্বজিৎ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী আবু বকরের ছবি নিজের ফেসবুকে আলাদা আলাদা স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পোস্ট করেন আসিফ নজরুল।২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের হাতে নিহত আবরার ফাহাদের ছবি প্রথমে পোস্ট করেন তিনি। সেখানে আসিফ নজরুল লিখেন, ‘কোনো দিন ফিরবে না, আমাদের আবরার!’

বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবরার। তাকে শিবির আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ওই হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড আর ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয় আদালত।

এরপরই পোস্ট করেন ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় দরজি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কোপানোর একটি ছবি। আসিফ নজরুল লেখেন, ‘মনে আছে বিশ্বজিৎ!’

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনে দুপুরে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস। তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ওই হত্যার একবছর পর ঢাকার দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে মামলার রায়ে ২১ জনের মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছিল। পরে, সেই মামলায় ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে, ছয়জনকে রেহাই দেন। মামলা থেকে খালাস দেয়া হয় চারজনকে। ওই মামলার আসামিদের মধ্যে এখনও পলাতক ১৩ জন।

সবশেষ পোস্ট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু বকরের ছবি। ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে এক দিন পর মারা যান তিনি।

আসিফ নজরুল লেখেন, ‘এই বিচার বাকি আছে। হৃদয়ে আবু বকর।’

২০১৭ সালেই আবু বকর হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক ১০ নেতা-কর্মীর সবাই বেকসুর খালাস পান। সব আসামি খালাস পাওয়ায় কে বা কারা আবু বকরকে খুন করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি, রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিলও করেনি। ফলে বিচার ছাড়া ওই মামলা সেখানেই শেষ হয়।