London ১০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদ্যপ স্বামীদের অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে একে অপরকে বিয়ে করলেন ২ নারী

অনলাইন ডেস্ক

মদ্যপ স্বামীদের আচরণে বিরক্ত ছিলেন দুই নারী। এনিয়ে প্রতিদিনই সংসারে লেগে থাকত অশান্তি। তাই স্বামীদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ঘর সংসার ছেড়ে একে অপরকে বিয়ে করে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন তাঁরা। এমনই ঘটনা ঘটল ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মদ্যপ স্বামীদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়েছে কবিতা এবং গুঞ্জা ওরফে বাবলু গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেওরিয়ায় ছোট কাশী নামে পরিচিত শিব মন্দিরে একে অপরকে বিয়ে করেন।

আরেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, এই দুই নারীর একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে। কয়েক বছর তাঁদের যোগাযোগ ছিল। প্রথমে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও পরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। দুজনের দাবি, তাঁরা পারিবারিক সহিংসতার শিকার। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে তারা একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

গুঞ্জা বলেন, ‘আমাদের স্বামীদের অত্যাচারে আমরা বিরক্ত ছিলাম। এটি আমাদের শান্তি ও ভালোবাসার জীবন বেছে নিতে বাধ্য করেছিল।’

মন্দিরের পুরোহিত উমা শঙ্কর পান্ডে জানান, ওই ২ নারী মালা এবং সিঁদুর কিনে এনে বিয়ে করেন এবং তারপর চলে যান ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:২০:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
Translate »

মদ্যপ স্বামীদের অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে একে অপরকে বিয়ে করলেন ২ নারী

আপডেট : ১১:২০:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

মদ্যপ স্বামীদের আচরণে বিরক্ত ছিলেন দুই নারী। এনিয়ে প্রতিদিনই সংসারে লেগে থাকত অশান্তি। তাই স্বামীদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ঘর সংসার ছেড়ে একে অপরকে বিয়ে করে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন তাঁরা। এমনই ঘটনা ঘটল ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মদ্যপ স্বামীদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়েছে কবিতা এবং গুঞ্জা ওরফে বাবলু গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেওরিয়ায় ছোট কাশী নামে পরিচিত শিব মন্দিরে একে অপরকে বিয়ে করেন।

আরেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, এই দুই নারীর একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে। কয়েক বছর তাঁদের যোগাযোগ ছিল। প্রথমে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও পরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। দুজনের দাবি, তাঁরা পারিবারিক সহিংসতার শিকার। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে তারা একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

গুঞ্জা বলেন, ‘আমাদের স্বামীদের অত্যাচারে আমরা বিরক্ত ছিলাম। এটি আমাদের শান্তি ও ভালোবাসার জীবন বেছে নিতে বাধ্য করেছিল।’

মন্দিরের পুরোহিত উমা শঙ্কর পান্ডে জানান, ওই ২ নারী মালা এবং সিঁদুর কিনে এনে বিয়ে করেন এবং তারপর চলে যান ।