রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে ঘুরে নানা ধরনের শাক-সবজি সংগ্রহ করেন তিনি। তারপর সেগুলো শহরে এনে ভ্যানে করে বিক্রি করে চলে তার জীবন-জীবিকা।
কলার মোচা, কলার গাছের কাণ্ড (ক্যানযাল), কচুর শাক, কলার লতি, মানকচু, ওলকচু, কাঁচা কলা, কলমী শাক, শান্তি শাক, বারো রকমের মিশ্রিত শাক—সবই পাওয়া যায় তার চলমান ভ্যানটিতে। আশেপাশে ভীড় জমে ক্রেতাদের। কারণ দাম অনেক কম—মাত্র ১০ বা ২০ টাকায় টাটকা সবজি পাওয়া যায়।
পরিবেশটা দারুণ। স্বাস্থ্য সচেতন অনেক মানুষই নিয়মিত সবুজ শাক খান। কারণ এসব শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। বিশেষ করে কলার কাণ্ডে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ও আয়রন।
কাঁচা কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার যা দেহের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে এতে রয়েছে:
ভিটামিন বি৬: স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং প্রোটিনের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে।
ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বককে সুস্থ রাখে।
পটাসিয়াম: হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ম্যাগনেসিয়াম: হাড়ের গঠন ও ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এছাড়াও কাঁচা কলায় থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হজমে সহায়তা করে ও শরীরকে বিভিন্নভাবে উপকার দেয়।
একটা ভ্যান আর স্বাস্থ্যকর সবজির ঝুড়িতে যেন পুরো গ্রামকে শহরে এনে দিয়েছেন এই সবজি বিক্রেতা।