ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ ও জুলাই সনদে প্রবাসীদের ভূমিকা উল্লেখসহ নানা দাবীতে প্রবাসী অধিকার পরিষদ ইউকের পক্ষ থেকে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। স্মারকলিপি প্রদান শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সদ্য ঘোষিত জুলাই ঘোষণাপত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদান ও ভূমিকাকে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগ এবং ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলেও তাদের ভোটাধিকারকে উপেক্ষা করা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঘোষিত পোস্টাল ভোট পদ্ধতিকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করে প্রবাসী অধিকার পরিষদ সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করার জোর দাবি জানায়। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পোস্টাল ভোটে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সম্ভব নয় এবং এতে অনিয়ম ও জালিয়াতির সুযোগ থেকে যায়। সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসীরা ভোট দিতে পারলে কেবল তাদের ভোটের নিরাপত্তাই নিশ্চিত হবে না, বরং জাতীয় নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হবে।
বাংলাদেশ হাই কমিশনার আবিদা ইসলামের পক্ষ থেকে ফার্স্ট সেক্রেটারি ওয়ারিসুল ইসলাম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং দ্রুত প্রধান উপদেষ্টার নিকট পাঠানোর আশ্বাস দেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জামান সিদ্দিক, আকমল হুসেইন,আমিনুল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান।
এ সময় প্রবাসী অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনে তারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কাজ করতে প্রস্তুত। বর্তমানে প্রায় ৬০ দেশে প্রবাসী অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন এবং স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েই প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তারা আরও বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত হলে দেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে এবং জাতীয় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পাবে।
সংগঠনটি ঘোষণা করেছে যে, প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের এই আন্দোলন শুধু যুক্তরাজ্যে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সমানভাবে চলবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোকেও বিষয়টি অবহিত করা হবে। বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা কেবল প্রবাসীদের অধিকার রক্ষা নয়, বরং দেশের গণতন্ত্রকে টেকসই করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।