ধারাভাষ্যকার মুরালি কার্তিক যেভাবে সাকিবের ইনজুরি, সার্জারি ও বেশি ওভার বোলিং না করার কার্যকারণ বর্ণনা করলেন, তা বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য যথেষ্ট। সাকিবের বরাত দিয়ে কিছু ভুল তথ্যও দেন তিনি। কার্তিকের কথার সূত্র ধরে তামিম ইকবালও টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করার দাবি রাখেন ধারাভাষ্যে।
সাকিবের ইনজুরির গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তি দেখা দেয় ড্রেসিংরুমে। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীকে দেশ থেকে ফোনে জানাতে হলো সাকিবের কোনো ইনজুরি নেই। সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প বিষয়টি পরিষ্কার করতে না পারলেও মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম জানান, সাকিব পুরোপুরি ফিট। চেন্নাই টেস্টেও সাকিব কোনো ধরনের চোট বা আঘাত পাননি বলেও জানান তিনি।
মুরালি কার্তিকের যে কথা নিয়ে বিভ্রান্তির সূত্রপাত তা হলো, সাকিবের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন তাঁর পুরোনো চোট ফিরে এসেছে। কার্তিক বলেন, ‘তাঁর (সাকিব) বাঁ হাতের স্পিনিং ফিঙ্গারে একটা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সেটি এখন ফুলে গেছে, শক্ত হয়ে আছে। ওই আঙুলে তিনি বলের অনুভূতিটাও পাচ্ছেন না। স্পিনার হিসেবে বলের অনুভূতিটা দরকার। এ ছাড়া তাঁর কাঁধেও অস্বস্তি আছে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে আমি জেনেছি।’
আসলে সাকিবের তর্জনীতে অস্ত্রোপচার হয়নি। ২০১৮ সালে বাঁ হাতের কনিষ্ঠায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। স্পিন আঙুল বা তর্জনীর হাড় ভেঙে গিয়েছিল ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিল্লিতে ব্যাট করার সময়। ভাঙা হাড়ে জোড়া লাগার পর সাকিব জাতীয় দলে ফেরেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে গত মার্চে। সেই থেকে জাতীয় দলে নিয়মিত তিনি। টি২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার টি২০ লিগে খেলেছেন। পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ শেষ করে কাউন্টি ক্রিকেটে চার দিনের ম্যাচ খেলেছেন সারের হয়ে। টনটনে সামারসেটের বিপক্ষে ৬৩.২ ওভার (৩৩.৫ ও ২৯.৩) বল করে ম্যাচে ৯টি উইকেট শিকার করেন।