প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ২৩, ২০২৫, ৭:১৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪, ২:৪৫ পি.এম
ভারত-চীন বিরল সংলাপ
সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনের লক্ষ্যে ‘শান্তি বজায়’ রাখতে চীন ও ভারতের মধ্যে বিরল সংলাপ হয়েছে। বুধবার বেইজিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনায় বসেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়, বুধবার এই দুই নেতার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তাদের বিরোধপূর্ণ সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা এবং এ বিষয়ে বিস্তৃত সমাধানের বিষয়ে আলোচনায় জোর দেয়া হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর এ ধরনের মিটিং এটাই প্রথম। বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় টহল দেয়ার বিষয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে অক্টোবরে একটি চুক্তির ঘোষণা দেয় নয়া দিল্লি।উল্লেখ্য, তিব্বত ও ভারতের লাদাখ অঞ্চলের মধ্যবর্তী সীমান্তে ২০২০ সালে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। তাতে ভারতের কমপক্ষে ২০ সেনা সদস্য নিহত হন। অন্যদিকে চীনে নিহত হন চারজন সেনা সদস্য। এরপর থেকে সম্পর্ক স্থবির হয়ে পড়ে। বুধবারের বৈঠক নিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ কিছু বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছে উল্লেখ করে বলেছে, ওয়াং এবং দোভালের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, উভয়পক্ষ সীমান্তে শান্তি এবং প্রাণচাঞ্চল্য বজায় রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছে। একই সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সুস্থ সম্পর্ক এবং তার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।অন্যদিকে বেইজিংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্ত প্রশ্নে বৃহত্তর সমাধানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে চীন এবং ভারত, যা উভয় পক্ষের জন্য ন্যায্য, যৌক্তিক এবং গ্রহণযোগ্য হবে। ২০২৩ সালে সৃষ্ট দ্বিপক্ষীয় আলোচনা বিষয়ক মেকানিজমের অধীনে দুই দেশের এই দুই নেতা আলোচনায় অংশ নেন। বুধবারের আলোচনায় তারা আবার ২০২৫
সালে ভারতে বৈঠক করতে একমত হন। উল্লেখ্য, এবার ব্রিকস সামিটে যোগ দিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামিটের এক ফাঁকে তারা আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। তার আগে ভারত অক্টোবরের চুক্তির ঘোষণা দেয়। এশিয়ার দুই জায়ান্ট ভারত ও চীনের মধ্যে অভিন্ন ৩৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। এর বেশিরভাগ জায়গা নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজমান। বিক্ষিপ্তভাবে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
Copyright © 2025 Londonbdtv.co.uk. All rights reserved.