বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশি পণ্য পরিবহন খরচ ২ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। সে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এটি কমিয়ে আনতে নানা ধরনের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।’
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সরকারের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একপেশে শুল্কারোপের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা নিজে দেখছেন। দেশটি বাংলাদেশের রপ্তানির পণ্য থেকে এক বিলিয়ন ডলার শুল্ক আয় করে। তারপরও তাদের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। আর এসব নিয়ে আলোচনা করতেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান বা চীন কোনো বিষয় নয়, সব দেশের সঙ্গেই সরকার বাণিজ্য বাড়াতে চায় সরকার।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এর বিপরীতে আমদানি ৮০-৯০ বিলিয়ন ডলার। আর এই ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে রেমিট্যান্স। অর্থপাচার বন্ধ হওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বেশি অর্থ আসছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় সয়াবিনের বাড়তি দাম নিয়েও কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, রাজস্ব বাড়াতেই ১৪ টাকা দাম সমন্বয় করতে হয়েছে।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য যাওয়ার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করেছে ভারত।