London ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রুকের রেকর্ড সেঞ্চুরি, টানা ১৪ ম্যাচ জয়ের পর হেরেছে অস্ট্রেলিয়া

প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পর ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুকরয়টার্স

২০২৩ সালে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপটা অস্ট্রেলিয়া শুরু করেছিল টানা দুই ম্যাচ হেরে। এরপর কী হয়েছে, সেটি তো জানাই। টানা নয় ম্যাচ জিতে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এরপর খেলা পাঁচটি ওয়ানডে জিতে জয়ের ধারাটিকে টানা ১৪ বানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তাতে ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টানা জয়ের কীর্তি গড়ে নিজেদেরই টানা ২১ ম্যাচ জয়ের বিশ্ব রেকর্ডটাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলীয়রা।

অস্ট্রেলিয়া কি ‘২১’-এর আরও কাছে যেতে পারবে, এই প্রশ্ন সামনে নিয়েই গতকাল চেস্টার-লি-স্ট্রিটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলতে নেমেছিল মিচেল মার্শের দল। অস্ট্রেলিয়া পারেনি টানা ওয়ানডে জয়ের সংখ্যাটিকে ১৫ বানাতে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাট করেও ডিএলএস নিয়মে স্বাগতিক দলের কাছে ৪৬ রানে হেরে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তাতে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে উত্তেজনা বেঁচে রইল। তিন ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে।

বৃষ্টি এসে খেলা থামিয়ে দেওয়ার আগে জয়ের পথেই ছিল ইংল্যান্ড। স্টিভ স্মিথ (৬০) ও অ্যালেক্স ক্যারির (৭৭) ফিফটি এবং শেষ দিকে অ্যারন হার্ডির (২৬ বলে ৪৪) ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ৩০৪ রান তোলে টসে হেরে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়া।

উইল জ্যাকসকে (বাঁয়ে) নিয়ে ১৫৬ রানের জুটি গড়েছেন হ্যারি ব্রুক

উইল জ্যাকসকে (বাঁয়ে) নিয়ে ১৫৬ রানের জুটি গড়েছেন হ্যারি ব্রুকরয়টার্স

রানতাড়ায় ইংল্যান্ড ১১ রানে প্রথম ২ উইকেট হারালেও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি ও উইল জ্যাকসের ব্যাটে ভর করে ৩৭.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৪ রান তুলে ফেলে। এরপরই বৃষ্টি এসে খেলা থামিয়ে দেয়। খেলা আর শুরু করা সম্ভব না হওয়ায় ডিএলএস নিয়মে ৬৪ রানে জিতে যায় ইংলিশরা।

অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় ওভারে তুলে নেন দুই ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেটকে। ডাকেট ৮ রান করলেও সল্ট কোনো রান করতে পারেননি। টানা তৃতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায় জ্যাকস-ব্রুকের ১৫৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে। ক্যামেরন গ্রিন ৮২ বলে ৮৪ রান করা জ্যাকসকে ফিরিয়ে ভাঙেন এই জুটি। জ্যাকস ফেরার ৩০ রান পর বিদায় নেন ইংলিশ উইকেটকিপার জেমি স্মিথও (৭)। এরপর লিয়াম লিভিংস্টোনকে নিয়ে ৩৫ বলে ৫৭ রান যোগ করেন ব্রুক। বৃষ্টি নামে এরপরই। লিভিংস্টোন তখন ২০ বলে ৩৩ এবং ব্রুক ৯৪ বলে ১১০ রানে অপরাজিত।

চেস্টার লি স্ট্রিটের আকাশটা এমন ঘনকালো মেঘে ঢাকা ছিল

চেস্টার লি স্ট্রিটের আকাশটা এমন ঘনকালো মেঘে ঢাকা ছিলরয়টার্স

চোটে পড়া জস বাটলারের জায়গায় অধিনায়কত্ব করা ব্রুক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি করেই একটি রেকর্ড গড়েছেন। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ড সেটি। ২৫ বছর ২১৫ দিন বয়সী ব্রুক ভেঙেছেন অ্যালিস্টার কুকের রেকর্ড (২৬ বছর ১৯০ দিন)।

সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে শুক্রবার লর্ডসে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩০৪/৭ (ক্যারি ৭৭*, স্মিথ ৬০, হার্ডি ৪৪, গ্রিন ৪২, ম্যাক্সওয়েল ৩০; আর্চার ২/৬৭)।
ইংল্যান্ড: ৩৭.৪ ওভারে ২৫৪/৪ (ব্রুক ১১০*, জ্যাকস ৮৪, লিভিংস্টোন ৩৩*; গ্রিন ২/৪৫, স্টার্ক ২/৬৩)।
ফল: ইংল্যান্ড ৪৬ রানে জয়ী (ডিএলএস)।
সিরিজ: ৫-ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২-১ এ এগিয়ে।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হ্যারি ব্রুক

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫২
Translate »

ব্রুকের রেকর্ড সেঞ্চুরি, টানা ১৪ ম্যাচ জয়ের পর হেরেছে অস্ট্রেলিয়া

আপডেট : ০৪:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পর ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুকরয়টার্স

২০২৩ সালে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপটা অস্ট্রেলিয়া শুরু করেছিল টানা দুই ম্যাচ হেরে। এরপর কী হয়েছে, সেটি তো জানাই। টানা নয় ম্যাচ জিতে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এরপর খেলা পাঁচটি ওয়ানডে জিতে জয়ের ধারাটিকে টানা ১৪ বানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তাতে ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টানা জয়ের কীর্তি গড়ে নিজেদেরই টানা ২১ ম্যাচ জয়ের বিশ্ব রেকর্ডটাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলীয়রা।

অস্ট্রেলিয়া কি ‘২১’-এর আরও কাছে যেতে পারবে, এই প্রশ্ন সামনে নিয়েই গতকাল চেস্টার-লি-স্ট্রিটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলতে নেমেছিল মিচেল মার্শের দল। অস্ট্রেলিয়া পারেনি টানা ওয়ানডে জয়ের সংখ্যাটিকে ১৫ বানাতে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাট করেও ডিএলএস নিয়মে স্বাগতিক দলের কাছে ৪৬ রানে হেরে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তাতে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে উত্তেজনা বেঁচে রইল। তিন ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে।

বৃষ্টি এসে খেলা থামিয়ে দেওয়ার আগে জয়ের পথেই ছিল ইংল্যান্ড। স্টিভ স্মিথ (৬০) ও অ্যালেক্স ক্যারির (৭৭) ফিফটি এবং শেষ দিকে অ্যারন হার্ডির (২৬ বলে ৪৪) ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ৩০৪ রান তোলে টসে হেরে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়া।

উইল জ্যাকসকে (বাঁয়ে) নিয়ে ১৫৬ রানের জুটি গড়েছেন হ্যারি ব্রুক

উইল জ্যাকসকে (বাঁয়ে) নিয়ে ১৫৬ রানের জুটি গড়েছেন হ্যারি ব্রুকরয়টার্স

রানতাড়ায় ইংল্যান্ড ১১ রানে প্রথম ২ উইকেট হারালেও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি ও উইল জ্যাকসের ব্যাটে ভর করে ৩৭.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৪ রান তুলে ফেলে। এরপরই বৃষ্টি এসে খেলা থামিয়ে দেয়। খেলা আর শুরু করা সম্ভব না হওয়ায় ডিএলএস নিয়মে ৬৪ রানে জিতে যায় ইংলিশরা।

অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় ওভারে তুলে নেন দুই ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেটকে। ডাকেট ৮ রান করলেও সল্ট কোনো রান করতে পারেননি। টানা তৃতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায় জ্যাকস-ব্রুকের ১৫৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে। ক্যামেরন গ্রিন ৮২ বলে ৮৪ রান করা জ্যাকসকে ফিরিয়ে ভাঙেন এই জুটি। জ্যাকস ফেরার ৩০ রান পর বিদায় নেন ইংলিশ উইকেটকিপার জেমি স্মিথও (৭)। এরপর লিয়াম লিভিংস্টোনকে নিয়ে ৩৫ বলে ৫৭ রান যোগ করেন ব্রুক। বৃষ্টি নামে এরপরই। লিভিংস্টোন তখন ২০ বলে ৩৩ এবং ব্রুক ৯৪ বলে ১১০ রানে অপরাজিত।

চেস্টার লি স্ট্রিটের আকাশটা এমন ঘনকালো মেঘে ঢাকা ছিল

চেস্টার লি স্ট্রিটের আকাশটা এমন ঘনকালো মেঘে ঢাকা ছিলরয়টার্স

চোটে পড়া জস বাটলারের জায়গায় অধিনায়কত্ব করা ব্রুক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি করেই একটি রেকর্ড গড়েছেন। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ড সেটি। ২৫ বছর ২১৫ দিন বয়সী ব্রুক ভেঙেছেন অ্যালিস্টার কুকের রেকর্ড (২৬ বছর ১৯০ দিন)।

সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে শুক্রবার লর্ডসে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩০৪/৭ (ক্যারি ৭৭*, স্মিথ ৬০, হার্ডি ৪৪, গ্রিন ৪২, ম্যাক্সওয়েল ৩০; আর্চার ২/৬৭)।
ইংল্যান্ড: ৩৭.৪ ওভারে ২৫৪/৪ (ব্রুক ১১০*, জ্যাকস ৮৪, লিভিংস্টোন ৩৩*; গ্রিন ২/৪৫, স্টার্ক ২/৬৩)।
ফল: ইংল্যান্ড ৪৬ রানে জয়ী (ডিএলএস)।
সিরিজ: ৫-ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২-১ এ এগিয়ে।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হ্যারি ব্রুক