গতকাল ১ মার্চ ২০২৫, শনিবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের দ্বিতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত এই গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য এ কাউন্সিল ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সংগঠনের ভবিষ্যৎ পথচলা নির্ধারিত হয়েছে।
নির্বাচনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে আশরাফুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজী রাজিউর রহমান তানভীর, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মো. মাসুম আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী লিটন হোসেন জিহাদ মাত্র ১ ভোট পান, যেখানে আশরাফুল হাসান ৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক পদে কাজী রাজিউর রহমান তানভীর পান ২৫ ভোট, আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী হাসাননুর রহমান ওবায়দুল্লাহ পান ১৫ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মাহবুবুর রহমান দিনার ১০ ভোট পেলেও ৩০ ভোট পেয়ে মো. মাসুম আহমেদ বিজয়ী হন।
এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪৩ জন, যার মধ্যে ৪০ জন ভোট দিয়েছেন, আর ৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন। নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরিবেশে সম্পন্ন হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও আইনজীবী অধিকার পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত থেকে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সফলভাবে পরিচালনা করেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করে।
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ নির্বাচিত না হওয়া মানেই পরাজিত হওয়া নয়, বরং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করে।
সংগঠনের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে নবনির্বাচিত নেতাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দায়িত্ব গ্রহণের পর তারা সংগঠনের লক্ষ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর করার জন্য নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদ আরও শক্তিশালী হয়ে গণতান্ত্রিক ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।