২০২৫ কসবায় উপজেলা পর্যায়ের সমাপনী অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন
সাংস্কৃতিক ও প্রতিভা অন্বেষণ – ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ‘সাংস্কৃতিক ও প্রতিভা অন্বেষণ – ২০২৫’ শীর্ষক উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে এক উৎসবমুখর পরিবেশে। এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় নির্বাচিত প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণে।
দেশের তরুণ সমাজকে মাদক, ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাংয়ের মতো সামাজিক ব্যাধি থেকে দূরে রাখতে এবং তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আয়োজনটি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কসবা উপজেলা প্রশাসন।
কসবা উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে গতোকাল আয়োজিত চূড়ান্ত পর্বে গান (উন্মুক্ত, আধুনিক, রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল সংগীত), ক্বেরাত এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন ইউনিয়ন পর্যায়ে বাছাইকৃত শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগীরা। অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। তরুণ-তরুণীরা তাদের গানের কণ্ঠে, ক্বেরাতের সুরে ও যুক্তিবাদী বক্তব্যে তুলে ধরেন সমাজ, সংস্কৃতি ও শিক্ষার নানা দিক।
এই চূড়ান্ত পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ছামিউল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা আইসিটি অফিসার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, “আজকের প্রতিযোগিতার প্রতিটি পর্ব আমাদের প্রমাণ করে দিয়েছে, এ দেশের তরুণরা মেধা ও সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যেতে সক্ষম। শুধু প্রয়োজন, তাদের সেই সুযোগটা করে দেওয়া।” তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের আয়োজনে শিক্ষার্থীরা যেমন তাদের মেধা প্রকাশের সুযোগ পায়, তেমনি পরিবার ও সমাজও পায় নতুন অনুপ্রেরণা। সুস্থ সংস্কৃতিই পারে একটি প্রজন্মকে আলোর পথে এগিয়ে নিতে।”
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিজয়ীদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দ ও গর্বের ছাপ। শিক্ষক-অভিভাবকদের মুখেও ছিল সন্তোষ প্রকাশ। এই আয়োজন তরুণদের মাঝে একটি নতুন উদ্যম সৃষ্টি করেছে, যা ভবিষ্যতে তাদের জীবন গঠনে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলোচনা পর্ব ও পুরস্কার বিতরণ শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। গান, কবিতা ও নৃত্যের ছন্দে মিলনায়তনটি মুহূর্তে হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও আনন্দময়। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল শৃঙ্খলা, সৌন্দর্য ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অংশগ্রহণ।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন নিয়মিতভাবে করার দাবি জানানো হয়েছে অংশগ্রহণকারী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে।