ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায় চতুর্থ ধাপে বিনামূল্যে ৪৬ জন পেলেন চোখের চিকিৎসা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আর্তমানবতার সেবায় বিএনপি’ এই ভাবনাকে উপজীব্য করে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের চোখে আলো ফেরাতে মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার উদ্যোগে অন্ধত্বের দ্বারপ্রান্তে থাকা মানুষ বিনামূল্যে পাচ্ছেন চোখের চিকিৎসা।
এই মানবিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত চার ধাপে ১৮৩ জনের চোখের ছানি অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) চতুর্থ ধাপে ময়মনসিংহের ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে ৪৬ জনের চোখের অপারেশন সম্পন্ন হয়। তাদের মধ্যে ২৬ জন নারী এবং ২০ জন পুরুষ। তারা নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষ।
এর আগে ১৯ জুলাই প্রথম ধাপে ৪২ জন, ২৩ জুলাই দ্বিতীয় ধাপে ৫০ জন এবং ৩০ জুলাই তৃতীয় ধাপে ৪৫ জনের চোখের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। তারা সুস্থভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
জানা গেছে,গত ফেব্রুয়ারিতে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের গুজিরকোণা গ্রামে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা ৯৩২ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে এসব রোগীদের চোখের অপারেশন করা হয়। অপারেশন ছাড়াও রোগীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়া ও ওষুধের যাবতীয় খরচও বহন করছেন কায়সার কামাল। দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকরা রোগীদের দুর্গাপুর থেকে ময়মনসিংহে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন।
চোখের চিকিৎসা নিতে আসা জুলেখা খাতুন বলেন,কয়েক বছর ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছিলাম। চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না টাকার অভাবে। কায়সার ভাই আমাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। আজ ডাক্তাররা আমার চোখের অপারেশন করেছেন।
অপর রোগী নজরুল ইসলাম বলেন, বহুদিন ধরে চোখের অসুখে ভুগছি। পয়সার অভাবে কোন চিকিৎসা করাতে পারিনি। তবে এবার চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা হলো। কায়সার কামাল সাহেব আমার চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি।
দুর্গাপুরের কাপাসাটিয়া গ্রাম থেকে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য আসা রোগী রহিমা খাতুন বলেন,টেহা-পয়সা নাই,চোহের চিকিৎসা করাইতে পারতাসিলাম না। কায়সার কামাল আমরারে চোহের ছানি অপারেশন করার ব্যবস্থা করছেন। আমরার কোন টেহা পয়সা লাগছে না।
এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।