বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

পত্রিকা খুললেই দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট কিশোর ছেলে হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসী ।বিভিন্ন দেশী অস্ত্রশস্ত্র সহ পুলিশের কাছে ধরা পড়ছে । কি কারনে একটা কিশোর হয়ে উঠছে সন্ত্রাসী ??পরিবারের পিতামাতা কি কখনো খেয়াল রাখেন না, তার সন্তান কোথায় যায় ??কি করে ??? যে ছেলে পড়াশোনা করার কথা লেখাপড়া করে সমাজের দেশের মুখ উজ্জ্বল করার কথা , সেখানে সেই কিশোর হয়ে উঠছে সন্ত্রাসী । ১০-১২ জন ছোট ছোট কিশোর গড়ে তুলছে কিশোর গ্রুপ। বিভিন্ন রকম অপকর্মের সাথে তারা জড়িয়ে যাচ্ছে ষ এই সামান্য বয়সী কিশোর নেশা করা থেকে শুরু করে , চুরি ছিনতাই থেকে শুরু করে , নানান ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা ।
অভিভাবকদেরও অনেকটা ব্যস্ততার কারণে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটানো ও সঙ্গ দেওয়ার সময় নেই কিংবা কেউ কেউ প্রয়োজনও বোধ করছে না। এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি হচ্ছে। গ্রুপের ভালো-মন্দ বোঝার মতো ক্ষমতা কিশোরদের মধ্যে নাও থাকতে পারে। উঠতি বয়সের কিশোরদের মধ্যে এক ধরনের উন্মাদনা কাজ করে। তারা অন্য কারো দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। কোনো প্রকার ভৌত অবকাঠামো ছাড়াই তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে এক জায়গায় একত্র হয়ে অপরাধমূলক কাজের পরিকল্পনা, খুন ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ তারা করছে।
সমাজে যখন আমরা ভালো-মন্দ উভয় দিক খেয়াল করি, তখন খারাপ গ্রুপকে ভালো করার কাজটি আমাদেরই করতে হবে। এমন সব কাজ করতে হবে, যেখানে খারাপ হওয়ার সুযোগ তৈরি না হয়। কিশোরদের মাঝে বড় বিষয় হলো অল্প বয়স ও পরিপক্বতার অভাব, যার কারণে কোনটি সঠিক আর কোনটি সঠিক নয়, তা বুঝতে না পারা। ফলে অনেক সময়ই গ্যাং কালচারকে বড় বিষয় মনে হয়। শারীরিক পরিবর্তন এবং এর সঙ্গে মানসিক অবস্থার পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিবার ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ তাদের সংঘবদ্ধ হতে এবং গ্রুপ গঠন করতে সহায়তা করে। তাই আজ কে থেকেই শুরু করেন, আপনার আদরের ছোট সন্তানের খোজ, খবর নেয়া । আপনার সন্তান কোথায় যায় ??কাদের সাথে মিশছে?? কি করে ?? গোপনে কোন মাদকদ্রব্য গ্রহন করে কিনা ??আপনার সন্তান কি ঠিক মত স্কুল বা কলেজে যাচ্ছে কি ?? আপনি শত ব্যস্ততার মধ্যেও সন্তানের জন্য সময় দিন। আপনার এই সন্তান একদিন বড় হয়ে, আপনার পরিবারের, সমাজের, দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে , সেই লক্ষ্য নিয়ে সন্তান কে পরিচালিত করুন ।