ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে গণধোলাইয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
সংগঠনটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে বলেছেন, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ স্পৃহা হাজার হাজার ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থানকে ম্লান করে দিতে পারে। কেউ যতো বড় অপরাধ করে থাকুক না কেন, আইনের আওতায় তার বিচার হতে হবে। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মব কিলিংয়ের মতো হত্যাকাণ্ড দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম দুর্বলতা ও ব্যর্থতার স্পষ্ট প্রতিফলন।
গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ জুলাই রাতে ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদকে পিটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়। ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ তুলে পেটানো হয়।
নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে শিবিরের বিবৃতিতে ছাত্রজনতাকে সকল প্রকার মব জাস্টিস, মব কিলিং বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, সুস্থ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক সহিংসতা, হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।