London ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
সিংড়ায় ৩১ দফার প্রচারণায় বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদ কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন, আব্দুল হান্নান সভাপতি, মকিস মনসুর, সম্পাদক নির্বা‌চিত নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঝুমা তালুকদার ঢাকায় গ্রেপ্তার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিম (ভিপি) সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু ভূমি অধিগ্রহণের টাকা নয়ছয়ের মিথ্যা সংবাদে ক্ষোভ: সাবেক প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা কাপাসিয়ায় বন খেকোদের হামলায় তিন সাংবাদিক আহত, আটক ৩ প্রিপেইড মিটার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন দুর্গাপুরে মাদক কেনাবেচার সময় ২৮০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে ধরা দুই মাদক কারবারি জনগণের সর্বোচ্চ ভোটে হবিগঞ্জ-৪ বিএনপিকে উপহার দিতে চাই : সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল

বিশেষ অভিযানে মাদকের ১১ গডফাদারসহ ৮৯ শীর্ষ কারবারি গ্রেপ্তার

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

দেশব্যাপী এক মাসের বিশেষ অভিযানে ১১ জন গডফাদারসহ ৮৯ জন শীর্ষ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সোমবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর ৫ হাজার ২৬৪টি অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় মামলা হয় ১ হাজার ১৯৮টি। গ্রেপ্তার হন মোট ১ হাজার ২৯৯ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন গডফাদারসহ ৮৯ জন শীর্ষ মাদক কারবারি রয়েছেন।

মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযানের সময় ৩ লাখ ৯ হাজার ১০১টি ইয়াবা, ৩ দশমিক ৭৬ কেজি হেরোইন, ১ দশমিক ১ কেজি আইস, ৩ হাজার ৭৭৪ বোতল ফেনসিডিল ও ২ হাজার ৪১৬ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া মাদকের মধ্যে আরও রয়েছে, বিয়ার ২ হাজার ৪১৬ ক্যান, টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৫ হাজার ৭৯১ পিস, চোলাই মদ ১ হাজার ৩৮০ লিটার, ৬৬৪ কেজি গাঁজা, ইনজেকশন ৪ হাজার ২২২ অ্যাম্পুল। এর বাইরে অভিযানকাল একটি শটগান, ৫১টি গুলি, ৯টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এবং ২১ লাখ ১১ হাজার ৭৮০ টাকা উদ্ধার ও জব্দ করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের প্রতি একটি অভিযোগ রয়েছে, আমরা শুধু ছোট মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করি বা আইনের আওতায় আনি। তবে এটি ঠিক নয়। আমরা বড় মাদক ব্যবসায়ীদেরও আইনের আওতায় আনি।’

অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীর প্রকৃত সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সংখ্যা কমানো হয়নি।’

রাজধানী ঢাকার অবৈধ বারের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বলেন, ‘কেউ অবৈধভাবে মাদক বিক্রি করতে পারবে না। এ বিষয়ে আমরা সব সময় কাজ করি। আপনাদের কাছে তথ্য থাকলেও আমাদের দিন। প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:২৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
১১৬
Translate »

বিশেষ অভিযানে মাদকের ১১ গডফাদারসহ ৮৯ শীর্ষ কারবারি গ্রেপ্তার

আপডেট : ০৫:২৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

দেশব্যাপী এক মাসের বিশেষ অভিযানে ১১ জন গডফাদারসহ ৮৯ জন শীর্ষ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সোমবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর ৫ হাজার ২৬৪টি অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় মামলা হয় ১ হাজার ১৯৮টি। গ্রেপ্তার হন মোট ১ হাজার ২৯৯ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন গডফাদারসহ ৮৯ জন শীর্ষ মাদক কারবারি রয়েছেন।

মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযানের সময় ৩ লাখ ৯ হাজার ১০১টি ইয়াবা, ৩ দশমিক ৭৬ কেজি হেরোইন, ১ দশমিক ১ কেজি আইস, ৩ হাজার ৭৭৪ বোতল ফেনসিডিল ও ২ হাজার ৪১৬ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া মাদকের মধ্যে আরও রয়েছে, বিয়ার ২ হাজার ৪১৬ ক্যান, টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৫ হাজার ৭৯১ পিস, চোলাই মদ ১ হাজার ৩৮০ লিটার, ৬৬৪ কেজি গাঁজা, ইনজেকশন ৪ হাজার ২২২ অ্যাম্পুল। এর বাইরে অভিযানকাল একটি শটগান, ৫১টি গুলি, ৯টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এবং ২১ লাখ ১১ হাজার ৭৮০ টাকা উদ্ধার ও জব্দ করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের প্রতি একটি অভিযোগ রয়েছে, আমরা শুধু ছোট মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করি বা আইনের আওতায় আনি। তবে এটি ঠিক নয়। আমরা বড় মাদক ব্যবসায়ীদেরও আইনের আওতায় আনি।’

অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীর প্রকৃত সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সংখ্যা কমানো হয়নি।’

রাজধানী ঢাকার অবৈধ বারের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বলেন, ‘কেউ অবৈধভাবে মাদক বিক্রি করতে পারবে না। এ বিষয়ে আমরা সব সময় কাজ করি। আপনাদের কাছে তথ্য থাকলেও আমাদের দিন। প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’