বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান শিক্ষায় উৎসাহিত ও প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন ও উদ্যোগে বিএসআইআর এর পরিচালনায় ২০২৩ সালে যাত্রা শুরু করে বিসিএসআইআর ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনী।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিভাগেও চলছে এর কার্যক্রম।
আজ ২৬ মে ২০২৫ সোমবার বিভাগের নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনী প্রদর্শন ও বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের তথ্যপ্রযুক্তি ও এর ব্যবহার তুলে ধরেন বিসিএসআইআর এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।
এ দিন সকাল ১০:০০ টায় রাণীনগর উপজেলার রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর বিশেষায়িত বাস এসে পৌঁছায়। এসময় কৌতুহল সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থীদের মাঝে। এরপর ধারাবাহিকভাবে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে এই কার্যক্রম।
এসময় শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রদর্শন দেখে আনন্দে-উচ্ছ্বসিত হয়।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব শিক্ষার্থীরা বলছেন ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞানের এমন প্রদর্শনী তারা কোথাও দেখেনি। বিজ্ঞানের আলো ছড়াতে এমন প্রদর্শনী অব্যাহত রাখার দাবি প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে জুনাইদ হাসান বলেন,
এই ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম এছাড়া যেসব বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি দেখিনি সেটাও দেখতে পেয়েছি।
এবিষয়ে কথা হয়, এসএসও এবং ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর উপ-প্রকল্প পরিচালক মোঃ জাহিদুল ইসলামের সাথে তিনি জানান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন ও উদ্যোগে বিসিএসআইআর এর পরিচালনায় বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞানের আলো ছড়াতে এই ভ্রাম্যমাণ কার্যক্রমটি পরিচালনা করে আসছি। আমাদের এই ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর বিশেষায়িত বাসের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞানের প্রসার ঘটানোর জন্য আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এ বিষয়ে আরো কথা হয় এসও এবং ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর প্রকল্প সহযোগী মোঃ ফিরোজ আহমেদের সঙ্গে তিনি বলেন,
বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের মাঝে অনাগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণাগার না থাকায় এর প্রধান কারণ বলে জানান তিনি।
আমাদের এই ভ্রাম্যমাণ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিষয়ে পড়তে উৎসাহিত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।