বিএনপির মানবিক উদ্যোগ : চোখের আলোয় তারা দেখবেন জীবনের আলো

সমাজের বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক তারা। কারো বয়স ৬০,কারো ৬৫ বা তদুর্ধ্ব। শরীরে বয়সের ছাপ পড়েছে। চোখে রোগ বাসা বেঁধেছে। বহুদিন ধরে তারা চোখের অসুখে ভুগছেন। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় চিকিৎসা করাতে পারেননি। ফলে ক্রশম অন্ধত্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। সমাজের এই দু:স্থ মানুষের ভরসা হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতার মানবিক উদ্যোগে চোখের আলো ফিরে পাচ্ছেন তারা। তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ ফ্রিতে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। তাদের খাওয়াদাওয়া,ঔষধ,যাতায়াত সহ চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য যাবতীয় খরচও বহন করছেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘আর্তমানবতার সেবায় বিএনপি’ এই ভাবনাকে উপজীব্য করে তিনি সাধারণ মানুষের জন্য নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করছেন। তার উদ্যোগে হতদরিদ্র মানুষ পেয়েছে নির্ভরতা।
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের গুজিরকোণা গ্রামে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা ৯৩২ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়।
বুধবার (২৩ জুলাই) অর্ধশত চোখের রোগীকে ময়মনসিংহের ড. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ২৬ জন নারী এবং ২৪ জন পুরুষ রয়েছেন। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা রোগীদের দুর্গাপুর থেকে বাসযোগে হাসপাতালে পৌঁছে দেন।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বলেন, অপারেশন করে চোখের আলো ফিরে পাবার প্রতীক্ষায় রয়েছেন তারা। এই মানবিক উদ্যোগের জন্য ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে তারা ধন্যবাদ জানান।
চিকিৎসা নিতে আসা ষাটোর্ধ্ব নারী ফুলজান বিবি অন্য রোগীদের সাথে ময়মনসিংহে হাসপাতালে যাচ্ছেন। তার চোখের ছানি অপারেশন করা হবে। তিনি দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি বলেন,চোহে দেহি না। এই বুড়া বয়সে তাই কষ্টের শেষ নাই। অপারেশন কইরা চোখ ভালা করবো। টেকা পয়সা ছাড়াই আমরারে চিকিৎসা দিবো।
প্রত্যন্ত গুদারিয়া গ্রাম থেকে এসেছেন ইসলাম খাঁ। তিনি ভুগছেন চোখের অসুখে। তাই কাজকর্ম ঠিকমতো করতে পারেন না। তিনি বলেন,পয়সার অভাবে চোখের চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না। ব্যারিস্টার কায়সার ভাই আমাদের বিনামূল্যে চোখের যাবতীয় চিকিৎসা করাচ্ছেন। ছানি অপারেশনের পর চোখ ভালো হলে আবার কাজকর্ম করতে পারবো।
কৃষ্ণেরচর এলাকা থেকে আসা আবুল মনসুর বলেন,চোখে দেখতে না পেয়ে কয়েক বছর ধরে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু অপারেশনের জন্য টাকা জোগাড় করতে না পারায় চোখ ভালো হয়নি। এখন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহায়তার চোখের চিকিৎসার জন্য যাচ্ছি।
জানা গেছে,বিভিন্ন ধাপে ৯৩২ জন রোগীর অনেকেরই চোখের ছানি অপারেশন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে অপারেশন সম্পন্ন হবে। কিছুদিন পূর্বে অপারেশন সম্পন্ন হওয়া রোগীরা এখন পুরোপুরি সুস্থ। তারা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা ও কাজকর্ম করতে পারছেন।
বিএনপির মানবিক এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দু:স্থ-অসহায় এসব মানুষ চক্ষু চিকিৎসা প্রাপ্তির পর চোখের আলোয় তারা দেখবেন জীবনের আলো।