London ১১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (২৮) মারা গেছেন।

বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। কবির হোসেন ওই থানার সাদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং চাঁদপুর গ্রামের ফজল আকন্দের ছেলে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিএনপির নেতারা বলেন, এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মুনজুর রহমান মুঞ্জু সিকদার, যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম মিঠু মীর ও সাধারণ সম্পাদক কালাম সিকদারের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতা কবিরকে হত্যা করা হয়েছে।

অপরদিকে এ ঘটনায় দুই বিএনপি নেতার প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। একইসঙ্গে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তারা।

বুধবার রাতে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশের সই করা একটি পত্রে এই তথ্য জানানো হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়- এনায়েতপুরে বালুমহাল ও ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ স্থগিত করা হলো।

একই চিঠিতে এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন চৌধুরী, নাজমুল হোসেন তালুকদার রানা ও যুগ্ম সম্পাদক নূর কায়েম সবুজ।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের করোনা বাজারে ইফতারের আয়োজন করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য রওশন আলী। অপরদিকে চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি করিম মোল্লা। কিন্তু রওশন আলী ও তার লোকজন চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে করিম মোল্লার ইফতার আয়োজনে বাধা দেন। পরবর্তীতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। এ ঘটনায় কবির হোসেনসহ সাতজন আহত হয়।

 

প্রথমে গুরুতর অবস্থায় কবির হোসেনকে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে বাংলাদেশ ক্রিটিক্যাল কেয়ার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:৪১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
১৫
Translate »

বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

আপডেট : ০৪:৪১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (২৮) মারা গেছেন।

বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। কবির হোসেন ওই থানার সাদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং চাঁদপুর গ্রামের ফজল আকন্দের ছেলে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিএনপির নেতারা বলেন, এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মুনজুর রহমান মুঞ্জু সিকদার, যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম মিঠু মীর ও সাধারণ সম্পাদক কালাম সিকদারের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতা কবিরকে হত্যা করা হয়েছে।

অপরদিকে এ ঘটনায় দুই বিএনপি নেতার প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। একইসঙ্গে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তারা।

বুধবার রাতে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশের সই করা একটি পত্রে এই তথ্য জানানো হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়- এনায়েতপুরে বালুমহাল ও ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ স্থগিত করা হলো।

একই চিঠিতে এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন চৌধুরী, নাজমুল হোসেন তালুকদার রানা ও যুগ্ম সম্পাদক নূর কায়েম সবুজ।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের করোনা বাজারে ইফতারের আয়োজন করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য রওশন আলী। অপরদিকে চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি করিম মোল্লা। কিন্তু রওশন আলী ও তার লোকজন চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে করিম মোল্লার ইফতার আয়োজনে বাধা দেন। পরবর্তীতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। এ ঘটনায় কবির হোসেনসহ সাতজন আহত হয়।

 

প্রথমে গুরুতর অবস্থায় কবির হোসেনকে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে বাংলাদেশ ক্রিটিক্যাল কেয়ার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।