বিএনপির অফিস ভাংচুর ১৫৮ জন আ,লীগ নেতা কর্মীর নামে মামলা

বরগুনায় ২০২৩ সালে জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এবং হাতবোমা ফাটিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় বরগুনা সদর থানায় মামলা হয়েছে আঃলীগ নেতা কর্মী সহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে। মামলায় আরও একাধিক অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। বরগুনা জেলা বিএনপির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নইমুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।
মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে তৎকালীন বরগুনা -১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। মামলায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরগুনা -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক মেয়র এডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন, আমতলী পৌরসভা মেয়র মতিয়ার রহমান, বেতাগী পৌরসভা মেয়র গোলাম কবির, বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, তালতলী উপজেলা পরিষদ রেজবিউল কবির জমাদ্দার সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের ১৫৮ জনকে এজাহার ভুক্ত আসামি করা হয়েছে। মামলায় ইতিমধ্যে ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। গতকাল রাত নয়টার দিকে আমতলী উপজেলার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বাদলকে অন্য একটি মামলায় জামিন লাভ করে বের হওয়ার পর সামনের সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বরগুনা থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা থাকায় ও এই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বাদী এস এম নইমুল ইসলাম অভিযোগ করেন গত ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ আসামিরা শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করে বরগুনা থেকে বিএনপিকে উৎখাত করতে মিছিল নিয়ে এসে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় তার অফিস কক্ষ তছনছ করে। আসবাব পত্র ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল মালামাল ভাংচুর করে সামনের সড়কে স্তুপ করে। এসময় মামলার এজাহার ভুক্ত অন্য আসামীরা গান পাউডার দিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে এবং অন্য আসামীরা একাধিক হাতবোমা বিএনপি অফিসে ও বাহিরে ফাটায়। বাদী অভিযোগ করেন এসময় তাদের দল সরকার পরিচালনা করায় প্রশাসনের কাছে প্রতিকার পায়নি।
এবিষয়ে বরগুনা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, স্যাবোটাজ ও বিস্ফোরক আইনে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ ও তাদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীর নামে একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।