বাগমারার সরকারী খাদ্য গুদামে পচা চাল

রাজশাহীর বাগমারায় সরকারি খাদ্য গুদাম ভর্তি রয়েছে পচা ধান আর চাল। গুদামে রক্ষিত চালের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ চাল হচ্ছে পচা বা নষ্ট।
সেই পচা চাউল সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল ভোগীদের মাঝে বিক্রয় করা হয়ে থাকে। ওই সকল চাউল সুফল ভোগীরা খেতে না পারায় প্রশাসনের নিকট মৌখিক অভিযোগ করে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে যায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা। এ সময় উপজেলার ৪টি খাদ্য গুদামে গিয়ে ধান এবং চাউলের বস্তা দেখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় এই পরিদর্শনে। গুদামে থাকা ধান এবং চাউল পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ধান এবং চাউলের মান ঠিক আছে কিনা সেটা জানার জন্য কিছু সিম্পল সংগ্রহ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার সরকারি সুফলভোগীদের মাঝে এই চালগুলো বিক্রয় করা হয়ে থাকে। এই চালের মান এতটাই খারাপ যা খাওয়ার অনুপযোগী।
ওসিএলএসডি বাচ্চু মিয়া দাবি করেন এতো চাউল চেক করে নেয়া সম্ভব হয় না। পাশাপাশি চালগুলো বিভিন্ন ঠিকাদার কর্তৃক সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। ট্রাক ভর্তি করে ঐ সকল চাউলের বস্তা আনা হয় খাদ্য গুদামে।
এদিকে, খাদ্য গুদামে এই অনিয়মের ঘটনায় চারটি গুদাম সীলগালা করেছে উপজেলা প্রশাসন। খাদ্য গুদামে অভিযান কালে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নবী নওয়াজেশ আমিন সহ ওসিএলএসডি বাচ্চু মিয়া।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নবী নওয়াজেশ আমিন বলেন, উপজেলা খাদ্য গুদামে কখন কি পরিমান চাউল বা ধান গুদাম জাত করা হচ্ছে সেটি মূলত যিনি গুদাম কর্মকর্তা তিনি দেখে এবং বুঝে নেন। কি পরিমাণ চাউল নষ্ট হল এটি আসলে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, এটি আসলে গুদাম কর্মকর্তার অবহেলা। তিনি যে পদের দায়িত্ব পালন করবেন সেটি খেয়াল রাখবেন না সেটা তো মেনে নেয়া যায় না। সরকারের কোটি কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হচ্ছে অথচ তিনি জানেন না এটা হতে পারে না। এই চাউল খাওয়ার অনুপযোগী। আমি নিজেও জানতাম না। সুফলভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই গুদামে অভিযান পরিচালনা করি। অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় বর্তমানে চারটি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে।