London ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ সীমান্তে হঠাৎ ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু বিএসএফের

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে টানাপোড়েন এবং দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ১০ দিনের ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই মহড়া চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যেই এই মহড়া শুরু হয়েছে বলে দাবি ভারত সরকারের।

বিএসএফের তরফ থেকে দেয়া এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ভারতের আসন্ন ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করবে। ১৯৫০ সালের এই দিনে ভারত সংবিধান কার্যকর করে একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। প্রতি বছর এই দিনটি জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আয়োজনে উদযাপিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে বিএসএফের সব ফিল্ড ফর্মেশন ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু করেছে। সীমান্ত নিরাপত্তা আরও জোরদার এবং সীমান্ত চৌকিগুলো আরও শক্তিশালী করতেই এই মহড়া। মহড়ার সময় সীমান্তে টহল ও অন্যান্য নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।

এ সময় বিএসএফের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্বাঞ্চল) ও অন্যান্য কর্মকর্তারা পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এলাকার দিন-রাতের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে বিএসএফের অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং কৌশলগত মোতায়েন তদারকি করতে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) রবি গান্ধী সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন। তিনি সকল ফিল্ড ফর্মেশনকে বিশেষভাবে নদী সীমান্ত এবং যেখানে কাঁটাতারের বেড়া নেই সে সব এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিএসএফের বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই মহড়ার সময় বিএসএফ বাহিনী সীমান্তের গভীর ও সামনের এলাকায় বিভিন্ন নিরাপত্তা মহড়া পরিচালনা করবে। এছাড়া সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমের বৈধতা যাচাই এবং সীমান্ত এলাকার জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পুনর্মিলনী কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:২৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
Translate »

বাংলাদেশ সীমান্তে হঠাৎ ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু বিএসএফের

আপডেট : ১১:২৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে টানাপোড়েন এবং দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ১০ দিনের ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই মহড়া চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যেই এই মহড়া শুরু হয়েছে বলে দাবি ভারত সরকারের।

বিএসএফের তরফ থেকে দেয়া এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ভারতের আসন্ন ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করবে। ১৯৫০ সালের এই দিনে ভারত সংবিধান কার্যকর করে একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। প্রতি বছর এই দিনটি জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আয়োজনে উদযাপিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে বিএসএফের সব ফিল্ড ফর্মেশন ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু করেছে। সীমান্ত নিরাপত্তা আরও জোরদার এবং সীমান্ত চৌকিগুলো আরও শক্তিশালী করতেই এই মহড়া। মহড়ার সময় সীমান্তে টহল ও অন্যান্য নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।

এ সময় বিএসএফের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্বাঞ্চল) ও অন্যান্য কর্মকর্তারা পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এলাকার দিন-রাতের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে বিএসএফের অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং কৌশলগত মোতায়েন তদারকি করতে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) রবি গান্ধী সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন। তিনি সকল ফিল্ড ফর্মেশনকে বিশেষভাবে নদী সীমান্ত এবং যেখানে কাঁটাতারের বেড়া নেই সে সব এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিএসএফের বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই মহড়ার সময় বিএসএফ বাহিনী সীমান্তের গভীর ও সামনের এলাকায় বিভিন্ন নিরাপত্তা মহড়া পরিচালনা করবে। এছাড়া সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমের বৈধতা যাচাই এবং সীমান্ত এলাকার জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পুনর্মিলনী কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে।