London ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নাহিদ ইসলাম এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসাতে অভ্যুত্থান হয়নি শ্যামনগরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত, কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনগড়া লোডশেডিংয়ে, চরম বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালকিনিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ৮ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির আভাস রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী ৪ নারী খেলোয়াড় কালই বুঝতে পারবেন-কী করতে পারি

বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরে সহায়তা দেবে চীনা এক্সিম ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক:

 চীনা এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংকের চেয়ারম্যান চেন হুয়াইয়ু জানিয়েছেন, তার ব্যাংক চীনা উৎপাদন কারখানাগুলোর বাংলাদেশে স্থানান্তর নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক রপ্তানি বাজারে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) চীনের বোয়াও শহরে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া ২০২৫ এর সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকালে চেন এই মন্তব্য করেন।

চীনা এক্সিম ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিভিন্ন অবকাঠামো ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে, তবে এবারই প্রথম তারা বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি শিল্পকারখানা স্থাপনে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং মানবসম্পদ দেশের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক উৎপাদন হাবে পরিণত করতে সক্ষম। তিনি চীনের শীর্ষস্থানীয় উৎপাদকদের বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার তাদের জন্য আকর্ষণীয় সুবিধা প্রদান করবে এবং একটি ট্রেড করিডোর গড়ার কাজ করবে।

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে এবং বাংলাদেশ চীনের উৎপাদন খাতে পরিপূরক ভূমিকা রাখতে পারে।

এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান চেন হুয়াইয়ু বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব, পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে পণ্য সরবরাহের জন্য আদর্শ অবস্থানে রয়েছে। তিনি ভিয়েতনামের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, চীনা ও পশ্চিমা বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা যেভাবে তাদের অর্থনীতি পরিবর্তন করেছে, বাংলাদেশও যদি একইভাবে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে, তবে তা একই ধরনের লাভ এনে দিতে পারে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা ভিয়েতনাম থেকে শিখবো।’

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নের দ্রুত অনুমোদন, নতুন অবকাঠামো প্রকল্প যেমন দশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার বাস্তবায়ন, এবং ঋণ হ্রাসের জন্য সহায়তা চেয়েছেন।

চেন হুয়াইয়ু জানান, তার ব্যাংক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করবে এবং বাংলাদেশের জন্য আরও চীনা মুদ্রায় (আরএমবি) সহজ শর্তের ঋণ গ্রহণের পরামর্শ দেন।

এছাড়া, উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা শিগগিরই পুনরায় বৈঠকে বসবেন এবং আলোচনার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি ও পরিবহন উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৮:১৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
Translate »

বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরে সহায়তা দেবে চীনা এক্সিম ব্যাংক

আপডেট : ০৮:১৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

 চীনা এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংকের চেয়ারম্যান চেন হুয়াইয়ু জানিয়েছেন, তার ব্যাংক চীনা উৎপাদন কারখানাগুলোর বাংলাদেশে স্থানান্তর নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক রপ্তানি বাজারে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) চীনের বোয়াও শহরে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া ২০২৫ এর সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকালে চেন এই মন্তব্য করেন।

চীনা এক্সিম ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিভিন্ন অবকাঠামো ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে, তবে এবারই প্রথম তারা বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি শিল্পকারখানা স্থাপনে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং মানবসম্পদ দেশের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক উৎপাদন হাবে পরিণত করতে সক্ষম। তিনি চীনের শীর্ষস্থানীয় উৎপাদকদের বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার তাদের জন্য আকর্ষণীয় সুবিধা প্রদান করবে এবং একটি ট্রেড করিডোর গড়ার কাজ করবে।

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে এবং বাংলাদেশ চীনের উৎপাদন খাতে পরিপূরক ভূমিকা রাখতে পারে।

এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান চেন হুয়াইয়ু বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব, পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে পণ্য সরবরাহের জন্য আদর্শ অবস্থানে রয়েছে। তিনি ভিয়েতনামের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, চীনা ও পশ্চিমা বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা যেভাবে তাদের অর্থনীতি পরিবর্তন করেছে, বাংলাদেশও যদি একইভাবে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে, তবে তা একই ধরনের লাভ এনে দিতে পারে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা ভিয়েতনাম থেকে শিখবো।’

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নের দ্রুত অনুমোদন, নতুন অবকাঠামো প্রকল্প যেমন দশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার বাস্তবায়ন, এবং ঋণ হ্রাসের জন্য সহায়তা চেয়েছেন।

চেন হুয়াইয়ু জানান, তার ব্যাংক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করবে এবং বাংলাদেশের জন্য আরও চীনা মুদ্রায় (আরএমবি) সহজ শর্তের ঋণ গ্রহণের পরামর্শ দেন।

এছাড়া, উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা শিগগিরই পুনরায় বৈঠকে বসবেন এবং আলোচনার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি ও পরিবহন উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।